কলকাতা: শুভেন্দু অধিকারীর কনভয়ের ধাক্কায় এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছিল চণ্ডীপুরে। সেই মামলায় সিবিআই তদন্তের দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ শুভেন্দু। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, যে রুটে তাঁর কনভয় যাচ্ছে সেখানে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করছে না রাজ্য। এই মামলার শুনানি আগামী বুধবার।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ চণ্ডীপুরের দিঘা-নন্দকুমার ১১৬ বি জাতীয় সড়কে শুভেন্দুর কনভয়ে একটি গাড়ির হামলায় প্রাণ হারান স্থানীয় যুবক ইসরাফিল। গুরুতর জখম অবস্থায় স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। রাতেই ওই ঘটনার প্রতিবাদে স্থানীয়রা রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। পাশাপাশি শুভেন্দু অধিকারীকে গ্রেফতারের দাবিতেও সরব হয়েছেন স্থানীয়দের একাংশ। এই ঘটনার জেরে ১১৬বি জাতীয় সড়ক সম্পূর্ণ অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। দিঘা গামী বহু গাড়ি সার দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে রাস্তায়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এদিন সকালে কলকাতা থেকেও তৃণমুলের একদল নেতা চণ্ডীপুরে যান। সকলেরই দাবি, শুভেন্দুকে অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে।
শুক্রবার চণ্ডীপুরে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) কনভয়ের ধাক্কায় মৃত ইসরাফিল খানের (Israfil Khan) দেহ নিয়ে মিছিল করেছিল তৃণমূল (TMC)। স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক সোহম চক্রবর্তী, মন্ত্রী অখিল গিরি-সহ জেলার একাধিক তৃণমূল নেতা সেই মিছিলে পা মেলান। কলকাতা থেকে চণ্ডীপুরে (Chandipur) যান সাংসদ দোলা সেন, দেবাংশু ভট্টাচার্য, জয়া দত্ত প্রমুখ। তাঁদের সঙ্গে মিছিলে পা মেলান মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা, সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এছাড়াও মিছিলে হাজির ছিলেন বহু তৃণমূল কর্মী সমর্থক।
দলের রাজ্য নেতারা প্রথমে ইসরাফিলের মরদেহে মালা দেন। পরে চণ্ডীপুর বাজার থেকে বিশাল মিছিল বেরোয় মরদেহ নিয়ে। সেই মিছিল যায় ভৈরবপুরের ইসরাফিলের গ্রামের বাড়িতে। মিছিল থেকে স্লোগান ওঠে ‘খুনি শুভেন্দুর শাস্তি চাই’।
এদিকে শুক্রবার সকালে শুভেন্দুর কনভয়ের গাড়ির চালক আনন্দ কুমার পাণ্ডে চণ্ডীপুর থানায় আত্মসমর্পণ করেন। এর পর তাঁকে তমলুক থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। তমলুক জেলা আদালত আনন্দকে এক দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয়। চণ্ডীপুর ছাড়াও জেলার একাধিক স্থানে শুভেন্দুর গ্রেফতারির দাবিতে তৃণমূল বিক্ষোভ দেখায়। বিক্ষোভকারীরা জানান, শুভেন্দু গ্রেফতার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।