উত্তরাখণ্ড: বড়সড় বিপর্যের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে জোশিমঠ। গত সোমবারই জোশিমঠে পৌঁছায় সেন্ট্রাল বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (Central Building Research Institute -CBRI) একটি প্রতিনিধি দল। জোশিমঠের বাড়িগুলির ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ঠিক কতটা তা বিস্তারে খতিয়ে দেখেন এই দলের প্রতিনিধিরা। আজ, মঙ্গলবার তাঁদের এই রিপোর্টের ভিত্তিতেই নির্ধারিত হবে ক্ষতিপূরণের অঙ্ক।
উত্তরাখণ্ডের এই শহরে সোমবার নতুন করে আরও ৬৮টি বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে। ভূমিক্ষয়ে বিপর্যস্ত জোশিমঠে এখনও ফাটলের সংখ্যা বাড়ছে। চামোলির (Chamoli) জেলাশাসক জানিয়েছেন, ফাটল ধরা ও বিপজ্জনক বাড়িগুলিতে লাল কালিতে ক্রস চিহ্ন এঁকে দেওয়া হয়।
সোমবার এই নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দলের আধিকারিকেদর সঙ্গে এই নিয়ে একটি পর্যালোচনা বৈঠক করেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি। জোশিমঠর জমির তলায় জল জমছে বলে জানা গেছে কিন্তু এই জলের উত্সস্থল কোথায় তা এখনও জানা যায়নি। এর ফলে আরও কঠিন হয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলার কাজ।
আরও পড়ুন: Joshimath Sinking: জোশিমঠে ফাটলের সংখ্যা বাড়ছে, সুপ্রিম কোর্টে কাল শুনানির সম্ভাবনা
এখনও পর্যন্ত ৬০৩টি বাড়িতে ফাটল চোখে পড়েছে। মোট ৬৮টি পরিবারকে ত্রাণ শিবিরে নেওয়া হয়েছে। সোমবারই, জোশিমঠের সঙ্কটকে জাতীয় বিপর্যয় বলে ঘোষণার আর্জি জমা পড়ে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)। আবেদনকারী স্বামী অভিমুক্তেশ্বরেনন্দরের আইনজীবীকে আজ, মঙ্গলবার শুনানির জন্য তালিকাভুক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়। প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি পি এস নরসিমার বেঞ্চে তালিকাভুক্ত করার আবেদন জমা পড়েছে।
 একটি প্রতিনিধি দল। জোশিমঠের বাড়িগুলির ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ঠিক কতটা তা বিস্তারে খতিয়ে দেখেন এই দলের প্রতিনিধিরা। আজ, মঙ্গলবার তাঁদের এই রিপোর্টের ভিত্তিতেই নির্ধারিত হবে ক্ষতিপূরণের অঙ্ক।){kind=link}