দত্তপুকুর: স্তূপ করে রাখা নানা রকমের বাজি (Firecracker)। ছড়িয়ে ছিটেয়ে পড়ে রয়েছে প্যাকেট। দামি দামি ব্র্যান্ডের স্টিকার রাখা রয়েছে। দত্তপুকুরের (Duttapukur) নীলগঞ্জে (Nilganj) বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনাস্থল থেকে কিছুটা দূরেই মিলল ল্যাবরেটরির (Laboratory) খোঁজ। ওই জায়গাটিই ছিল বাজি তৈরির আঁতুড়ঘর। সেখানেই জড়ো করা হতো কাঁচামাল। সেই জায়গাটির উপর আছড়ে পড়ল জনরোষ। ভাঙচুর (Vandalized) করা হল সেখানে। একটি গাড়ি (Car) রাখা ছিল। ভাঙচুর করা হয়েছে তাও। সেটি একটি ইটভাটা। সেই ইটভাটাকেই ল্যাবরেটরি বলা হচ্ছে। বিস্ফোরণের ঘটনাস্থল থেকে ৫০০ মিটার দূরে একটি পরিত্যক্ত ভাটায় ওই ল্যাবটরিতে বাজি তৈরি হতো। পরিত্যক্ত ইটভাটায় একটি বড়সড় ল্যাবরেটরির খোঁজ পাওয়া গেল। বিভিন্ন কেমিক্যাল সহ পরীক্ষাগারে যাবতীয় যন্ত্রাংশ পাওয়া গিয়েছে। শিবকাশী বলে যে খ্যাতনামা জায়গা রয়েছে তার মতো একই পরিমাণে বাজির গুণমান সহ তার স্টিকার পাওয়া গিয়েছে। বাজি বানানোর পদ্ধতি এবং প্রায় কোটি টাকার উপরে যন্ত্রাংশ ওখান থেকে পাওয়া গিয়েছে। সেখানে বাজির প্যাকেট, প্রচুর বাজির মশলা উদ্ধার হয়েছে।
এদিকে নীলগঞ্জের বাজি কারখানায় মৃতের সঙ্গে বেড়ে দাঁড়াল ৮। বিস্ফোরণে একটি গোটা বাড়ি ধসে মাটিতে মিশে গিয়েছে। স্থানীয়দের অনুমান ওই বাড়িতে জনা ১৫ লোক কাজ করছিল। সেখানে বেশ কয়েকটি বাড়ির শিশুও ছিল। হাসপাতালে দেখা গিয়েছে ঝলসে যাওয়া অর্ধদগ্ধ শিশুদের নিয়ে আসা হয়েছে। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে এক একটি দেহ বহু দূরে গিয়ে ছিটকে পড়ে।
আরও পড়ুন: নীলগঞ্জে মৃত্যু বেড়ে আট, পৌঁছল ফরেনসিক দল
মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে অনুমান। এলাকায় বেআইনি বাজি কারাখানতেই এই বিস্ফোরণ হয়েছে বলেই অভিযোগ স্থানীয়দের। এমনকী পুলিশ সব জানতেন বলে দাবি স্থানীয়দের একাংশের। এলাকাবাসীরা প্রতিবাদ করলে তাঁদের ওপর চড়াও হতো বলেও উঠছে অভিযোগ। ঘটনার জেরে এলাকায় ছড়িয়েছে ব্যাপক উত্তেজনা।