কলকাতা: সোমবার বিধানসভায় (West Bengal Legislative Assembly) একটি প্রস্তাব পেশ করেছেন তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বর্মন (MLA Satyajit Barman)। নোটিসে (Notice) বলা হয়েছে, কিছু বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তি বঙ্গভঙ্গের (Divison of Bengal) সবরকম অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এটা রাজ্যের কৃষ্টি ও সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের পরিপন্থী, রাজ্যের সকল শ্রেণির মানুষের ঐক্য ও সংহতি, জনগণের আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। তাই এই ধরনের অপচেষ্টার তীব্র নিন্দা (Condemnation) করা হচ্ছে। রাজ্যে শান্তি ও সম্প্রীতি (Peace and Harmony) রক্ষার স্বার্থে পশ্চিমবঙ্গকে অটুট রাখতে হবে, এজন্য রাজ্যের সকল স্তরের জনগণের কাছে আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: Bangla Sanskriti Mancha: সন্ত্রাসমুক্ত ভোটের দাবিতে মিছিল বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চের
বিধানসভায় বাংলা ভাগের অপচেষ্টার বিরুদ্ধে যে প্রস্তাব আনা হয়েছে, তা নিয়ে রাজ্যের শাসক ও বিরোধী দল (Ruling and Opposition Parties), উভয় পক্ষই আলোচনা করেছে। তবে এটাই প্রথম নয়, এর আগেও এই নিয়ে আলোচনা হয়েছিল রাজ্য বিধানসভায় এবং তা তৃণমূলের (TMC) আমলেই হয়েছিল। ২০১৭ সালে এই ধরনের একটি প্রস্তাব বিধানসভায় আনা হয়েছিল এবং সেই সময় রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল ছিল কংগ্রেস (Congress)। বর্তমানে সেই চিত্র বদলেছে। কিন্তু উল্লেখ্যযোগ্য বিষয় হল, রাজ্যের বর্তমান বিরোধী দল বিজেপির সেই সময় বিধানসভায় তিনটে আসন ছিল। আর বিরোধীদের আসনে ছিল কংগ্রেস এবং বাম (Left)। বঙ্গভঙ্গ বিরোধী প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমেই বিধানসভায় গৃহীত হয়েছিল। পুনরায় এই প্রস্তাব রাজ্য বিধানসভায় গৃহীত হতে চলেছে।
এদিকে, তৃণমূল নেতা ও কলকাতার মেয়র ফিরাদ হাকিম (Firhad Hakim, Mayor of Kolkata) এপ্রসঙ্গে বলেছেন, ইংরাজ আমল থেকেই বাংলাকে ভাগ করার চক্রান্ত চলছে। তার বিরুদ্ধে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকেও (Rabindranath Tagore) পথে নামতে হয়েছিল। ববি হাকিম আরও বলেছেন, বাংলাকে ভাগ করতে গিয়ে দেশ ভাগ হয়ে গিয়েছে, তার পিছনে ছিল আরএসএস (RSS)। ১৯৮০ সালে পাহাড়কে অশান্ত করে বাংলাকে ভাগ করার চেষ্টা করা হয়েছিল, তার পিছনে ছিল বিজেপি (BJP)। ১৯৯৮ সালে কুচবিহার জেলায় বাংলাকে ভাগ করার চেষ্টা করে রাজবংশী ভাইদের ভুল বোঝানোরও চেষ্টা করা হয়ছিল। ২০২১-এ ফের সেই চেষ্টা করা হয়েছিল, তবে বাংলার মানুষ তার জবাব দিয়েছেন। বঙ্গভঙ্গের অপচেষ্টার বিরুদ্ধে ফিরহাদের সাফ বক্তব্য, “আমরা বাংলা ভাগ করতে দেব না, তাতে যদি মৃত্য বরণ করতে হয়, করব।”