বোলপুর: অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) গড় বোলপুরে (Bolpur) আবার তৃণমূলে (TMC) ভাঙন। ৬০০ জন বিজেপি (BJP) ও তৃণমূল কর্মী দল ছেড়ে সিপিএমে (CPM) যোগদান করলেন। অনুব্রত মণ্ডল স্বমহিমায় থাকাকালীন যে অঞ্চলে সিপিএম দলীয় কার্যালয় খুলতে ভয় পেত, সেই অঞ্চলেই এবার তৃণমূল ও বিজেপি ছেড়ে সিপিএমে যোগ দিলেন প্রায় ৬০০ জন গ্রামবাসী।
বীরভূমের বোলপুর ব্লকের সাত্তোর (Sattor) অঞ্চলের হাটপুকুরডাঙার আদিবাসী ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রায় ৬০০ জন এদিন লাল ঝান্ডা তুলে দিলেন তৃণমূল ও বিজেপি ছেড়ে। স্থানীয় সিপিএম নেতা বকুল ঘড়ুই ও মানব রায় তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দিয়ে সিপিএমে যোগদান করান।
প্রসঙ্গত, কয়েক দিন আগেই বোলপুরের মহিদাপুর এলাকায় ১২ বছর পর সভা করেছিল বামেরা। তাতে তৃণমূল ছেড়ে কয়েকজন যোগদান করেছিলেন।
আরও পডুন: Panchayet Election 2023 | মে মাসেই কি পঞ্চায়েত ভোট? রাজ্য নির্বাচনের প্রস্তুত্তি তুঙ্গে
এবার বীরভূমের পাড়ুই থানার অন্তর্গত সাত্তোর গ্রাম পঞ্চায়েতের হাটপুকুরডাঙায় সভা করে সিপিএমে যোগদান করলেন তৃণমূলের কর্মীরা। বৃহস্পতিবার ওই গ্রামের তৃণমূলের বুথ সভাপতি শেখ আব্বাস, স্থানীয় তৃণমূল নেতা রবিলাল হেমব্রম, শেখ নাসির, শেখ আলম-সহ প্রায় ৬০০ জন সিপিএমে যোগ দেন।। সভায় উপস্থিত ছিলেন সিপিএমের স্থানীয় নেতা বকুল ঘড়ুই এবং সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য মানব রায়। এদিন তাঁরাই কর্মীদের হাতে লাল ঝান্ডা তুলে দেন।
বাম নেতাদের দাবি, তৃণমূলের দুর্নীতি প্রকাশ্যে আসার পর মানুষ বুঝতে পারছেন। তাই বামপন্থীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে অন্যায়ের প্রতিবাদে মাঠে নামছেন। একই সঙ্গে সিপিএম নেতাদের দাবি, আগামী দিনে আরও অনেকে তাঁদের সঙ্গে পা মেলাবেন। প্রমাণ হয়ে গিয়েছে, তৃণমূল সরকার আসলে চোরেদের সরকার। উপরতলা থেকে নীচতলা পর্যন্ত পাঁকে নিমজ্জিত হয়ে গিয়েছে। তাই গ্রামবাসীদের কাছ থেকে আর সমর্থন জুটছে না। পঞ্চায়েত ভোটে সামান্য কলকে জুটবে না শাসকদলের। তাই আগে থেকেই সাম্প্রদায়িক ও বিভাজনের, জাতপাতের রাজনীতি ছেড়ে মানুষ আদর্শবাদী দলে যোগ দিচ্ছেন। আগে যে রক্তচক্ষুর ভয়ে মানুষ মুখ খুলতে ভয় পেতেন, আজ তাঁরাই সাহসে ভর করে এগিয়ে আসছেন। আগামী দিনে আরও মানুষ লাল ঝান্ডার তলায় আশ্রয় নেবেন।
এদিকে, শাসকদল তৃণমূল এই ঘটনাকে আমল দিতে নারাজ। সিপিএমের দাবিকে অবশ্য গুরুত্ব দেওয়ার প্রয়োজন মনে করছে না তৃণমূল। শাসক শিবিরের দাবি, এই যোগদানে কোনও পার্থক্য হবে না। যারা দলে কিছু পাওয়ার আশায় এসেছিল, ঝোপ বুঝে তারাই শিবির বদল করছে। আখেরে এতে তৃণমূলেরই লাভ হবে বলে দাবি স্থানীয় নেতৃত্বের।