skip to content
Monday, July 1, 2024

skip to content
HomeকলকাতাMamata Banerjee | শাহকে ফোন করেছি, প্রমাণ করলে ইস্তফা, মুখ্যমন্ত্রীর চ্যালেঞ্জ নবান্নে

Mamata Banerjee | শাহকে ফোন করেছি, প্রমাণ করলে ইস্তফা, মুখ্যমন্ত্রীর চ্যালেঞ্জ নবান্নে

Follow Us :

কলকাতা: জাতীয় দলের তকমা ফিরে পেতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে (Amit Shah) ফোন (Phone) করার অভিযোগ খারিজ মুখ্যমন্ত্রীর (CM Mamata Banerjee)। বুধবার নবান্নে (Nabanna) সাংবাদিক বৈঠকে (Press Confarence) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমার ফোন করার কথা প্রমাণ করতে পারলে, আমি মুখ্যমন্ত্রীর পদে ইস্তফা দেব। আর যিনি অভিযোগ করেছেন, তিনি তা প্রমাণ না করতে পারলে ইস্তফা দেবেন তো? তাঁর দলের অন্য নেতারা পদত্যাগ করবেন তো?   
 
মঙ্গলবার সিঙ্গুরে বিজেপির এক সভায় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, যেদিন তৃণমুলের জাতীয় দলের তকমা গেল, সেদিন রাতেই মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে ফোন করেন। ফোনে তিনি হাতে-পায়ে ধরেছিলেন, যাতে তৃণমূলের জাতীয় দলের তকমা অব্যহত থাকে। শুভেন্দু আরও জুড়ে দেন, অমিত শাহ মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধ ফিরিয়ে দিয়ে বলেন, আমাদের নির্বাচন কমিশন আপনাদের মতো নন। আপনাদের দল নিয়মমতো ভোট পায়নি। তাই নির্বাচন কমিশন জাতীয় দলের তকমা প্রত্যাহার করে নিয়েছে। 

আরও পড়ুন: Mamata Banerjee Live | জাতীয় তকমা হারানোর পর শাহকে ৪ বার ফোন করেছি, প্রমাণ করতে পারলে পদত্যাগ করব: মমতা 

শুভেন্দুর এই বিস্ফোরক অভিযোগ নিয়ে মঙ্গলবার রাতেই তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ প্রতিক্রিয়ায় বলেন, শুভেন্দু মানসিক বিকার ঘটেছে। বরং শুভেন্দুই ২০০৯ সালে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হওয়ার জন্য মমতাদি’র পা ধরেছিলেন। বুধবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সাংবাদিক বৈঠকের প্রধান বিষয়ই ছিল শুভেন্দুর অভিযোগ সংক্রান্ত। তিনি অবশ্য শুভেন্দুর নাম একবারও নেননি। মমতা বলেন, বিজেপির কোন এক ভুঁইফোঁড় নেতা বলেছেন, আমি নাকি তৃণমূলের জাতীয় তকমা পাওয়ার জন্য   কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চার বার ফোন করেছি। আমি কেন ফোন করতে যাব। ওই ভুঁইফোঁড় নেতা তা প্রমাণ করতে পারবেন তো? মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আসলে মিথ্যে কথা বলা বিজেপির অভ্যাসে পরিণত হয়ে গিয়েছে। এ সব কথা বলে তণমূল সম্পর্কে মানুষের কাছে ভুল বার্তা দেওয়া হচ্ছে। 

এদিনও ফের মুখ্যমন্ত্রী অমিত শাহের ইস্তফা দাবি করেন। তিনি বলেন, সিউড়ির সভায় রাজ্য সরকার ভাঙার কথা বলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবিধানিক রীতিনীতি লঙ্ঘন করেছেন। আমি সোমবারই তাঁর পদত্যাগ চেয়েছি। আজ আবারও একই দাবি জানাচ্ছি। মমতা বলেন, বিজেপি নির্বাচন কমিশনকেও নিয়ন্ত্রণ করতে চায়। তার জন্য ওরা যা খুশি, তাই করতে পারে। যাই হোক, জাতীয় দলের তকমা থাকুক বা না থাকুক, তাতে কিছু যায় আসে না। তৃণমূল সাধারণ মানুষের কাছে সর্বভারতীয় দল হিসেবেই পরিচিত ছিল, পরিচিত থাকবে। 

গত শুক্রবার সিউরিতে বিজেপির এক সভায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে বাংলা থেকে বিজেপির ৩৫টি আসন পেলে ২০২৫ সালের আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার পড়ে যাবে। তাই নিয়ে তৃণমূল প্রচারে নেমে পরে। শাসকদল বলে, খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সরকার ভাঙার খেলায় নেমেছেন। তিনি এ কথা কিছুতেই বলতে পারেন না। তাঁর মন্তব্য সাংবিধানিক রীতিনীতির বিরোধী।

RELATED ARTICLES

Most Popular