আগরতলা: ত্রিপুরায় (Tripura) এবার বিজেপির সঙ্গে মূল লড়াই বাম-কংগ্রেস সম্মিলিত শক্তির। বাম ও কংগ্রেস জোট করেনি ঠিকই। তবে, আসন সমঝোতা করেছে। উপজাতিদের মধ্যে ভালো প্রভাব থাকা তিপ্রা মথা (Tipra Motha) কারও সঙ্গেই জোট বা সমঝোতায় যায়নি। তারা এককভাবে লড়াই করছে ৪২টি আসনে প্রার্থী দিয়ে। ত্রিপুরা ভোটে বামেরা ৪৬টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে। একটি আসন নির্দল প্রার্থীকে ছেড়ে দিয়েছে। সমঝোতা অনুযায়ী কংগ্রেস (Congress) লড়াই করছে ১৩ টি বিধানসভা আসনে। বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার পর্ব মিটে যাওয়ার পর দেখা যাচ্ছে, এবার লড়াইয়ের ময়দানে রয়েছেন ২৫৯ জন প্রার্থী।
তিপ্রা মথা ঘোষণা করেছে, তারা কারও সঙ্গে জোট না করেই ভোটে লড়বে। গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ডের দাবিতে তারা লড়াই করবে বলে জানিয়েছে। ত্রিপুরা রাজ পরিবারের সদস্য প্রদ্যোত মানিক্য দেববর্মার (Pradyot Debverma) এই পার্টি ৬০ টির মধ্যে ৪২ টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে। এর আগে তারা ত্রিপুরা ট্রাইবাল এরিয়াজ অটোনমাস ডিস্ট্রিক্টস কাউন্সিল নির্বাচনে সাফল্য পায়। এর আগেই প্রদ্যোত ঘোষণা করেছিলেন, তাদের দাবির ব্যাপারে যারা লিখিত আশ্বাস দেবে তাদের সঙ্গে জোট করা হবে। দিল্লিতে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা-মন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলেও মথার নেতাদের খালি হাতে ফিরতে হয়েছে। তারপরই প্রদ্যোত জানিয়ে দেয়, বিজেপির সঙ্গে কারও আপস নয়। তারা্ একাই লড়বে। তাঁর কথায়, জিতেগা তো জিতেগা, হারেগা তো হারেগা।
আরও পড়ুন: Meghalaya Assembly Elections 2023: ৪০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পৌঁছালো মেঘালয়ে
তিপ্রা মথা সিপিএম ও কংগ্রেসের সঙ্গেও আসন সমঝোতা নিয়ে আলোচনা চালাচ্ছিল। কিন্তু, পরবর্তীতে তারা একা লড়ারই সিদ্ধান্ত নেয়। এমনকী বিজেপির সহযোগী দল ইন্ডিজিনাস পিপলস ফ্রন্ট অফ ত্রিপুরার সঙ্গেও উপজাতি ভোট এক করার জন্য তাঁরা কথা চালাচ্ছিলেন। তবে তারা সিপিএমের ত্রিপুরার রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরীর বিরুদ্ধে দক্ষিণ ত্রিপুরপার সাবরুম বিধানসভা কেন্দ্রে কোনও প্রার্থী দেয়নি। একইভাবে কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি বিরজিত সিনহার বিরুদ্ধেও কোনও প্রার্থী দেয়নি। যিনি উত্তর ত্রিপুরা জেলার কয়লাশহর কেন্দ্র থেকে ভোটে লড়াই করছেন।
উত্তর পূর্বের এই রাজ্যে দীর্ঘ বাম সরকারের পতন ঘটিয়ে ২০১৮ সালে ক্ষমতায় এসেছিল বিজেপি। এবার তা ধরে রাখতে মরিয়া প্রয়াস বিজেপির। সেখানে গত বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ৬০ আসনের মধ্যে ৩৬টি আসন পেয়েছিল। বামফ্রন্ট পেয়েছিল ১৬টি আসন। ২৫ বছরের বাম শাসনের পর সেখানে সরকার গড়ে গেরুয়া শিবির। তার মধ্যে সিপিএমের মানিক সরকার মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন ২০ বছর। বিজেপির একটিও আসন ছিল না। বিজেপি পেয়েছিল ৩৬টি আসন। সেখানে সিপিএমের আসন সংখ্যা ৩৩ থেকে কমে হয় ১৬টি। তাছাড়া আইপিএফটি পেয়েছে ৮টি আসন। ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের ১০টি আসন ছিল। সব কটি হারিয়েছে। সিপিআইয়ের একটি আসন ছিল তাও হারায় তারা।