রায়পুর: ছত্তিশগড়ে (Chhattisgarh) চিড় ধরল বিজেপির (BJP) মাটিতে। প্রবীণ আদিবাসী নেতা নন্দকুমার সাই (Nand Kumar Sai) পদ্মশিবির থেকে ইস্তফা দিলেন। দল রাজনৈতিক শত্রুদের সঙ্গে সমঝোতা করছে এবং তাঁকে মিথ্যা অভিযুক্ত করা হচ্ছে, অভিযোগ নন্দকুমারের। এ বছরের শেষেই রাজ্যে বিধানসভা ভোট (Chhattisgarh Assembly Election 2023)। তার আগে লোকসভা (Lok Sabha) ও রাজ্যসভা (Rajya Sabha) মিলিয়ে ৫ বারের সাংসদ ও তিনবারের বিধায়কের দলত্যাগে মহা ফাঁপরে পড়েছে বিজেপি। বিশেষত আদিবাসী ভোটে (Tribal Vote) এর বিরাট প্রভাব পড়বে বলে রাজনৈতিক মহলের ধারণা। এই মওকা কংগ্রেসও (Congress) ছেড়ে দিতে চায় না। মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেলের (CM Bhupesh Baghel) সঙ্গে দেখা করে ‘হাত’ ধরতে পারেন নন্দকুমার।
আরও পড়ুন: Rajasthan Incident | বিয়েবাড়ি যেতে বাধা, রাগের বশে ৮০ বার কুপিয়ে খুন মাকে
প্রবীণ নেতার অভিযোগ, তাঁর দলেই শত্রুরা ঘোরাফেরা করছে। তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করে ভাবমূর্তি নষ্ট করার প্রয়াস চলছে। তফসিলি উপজাতিদের জাতীয় কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান নন্দকুমার সরগুজা এলাকার আদিবাসী নেতা। ইস্তফাপত্রে তিনি লিখেছেন, তিনি দলের সব পদ থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন। তিনি বলেন, দলের জন্মলগ্ন থেকে আজ পর্যন্ত আমাকে যখন যা দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, আমি তা দায়িত্ব ও নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করেছি।
কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে লক্ষ্য করছি, আমার দলেরই একাংশ আমার বিরুদ্ধে আদাজল খেয়ে উঠেপড়ে লেগেছেন। তাঁরা চেষ্টা করছেন কী করে আমার গায়ে কাদা ছেটানো যায়। মিথ্যে অভিযোগ এনে আমার সম্মানহানির চেষ্টা চলছে। পদত্যাগপত্র ছাড়াও নন্দকুমার একটি ভিডিয়োও বাজারে ছেড়েছিলেন। পরে যা ডিলিট করে দেওয়া হয়। ছত্তিশগড় রাজ্য গঠনের পর বিধানসভার প্রথম বিরোধী দলনেতা তাতে বলেছিলেন তিনি বিজেপির জন্য কী কী করেছেন। কত সংগ্রাম ও আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে রাজ্যে তিনি বিজেপিকে দাঁড় করিয়েছেন।
২০০৩ সালে অজিত যোগী নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস মন্ত্রিসভাকে ফেলতে তিনি অসাধ্যসাধন করেছিলেন। তা সত্ত্বেও তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী করা হয়নি। এরপর সাই মারওয়াহি থেকে যোগীর বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়ে হেরে যান। যদিও বিজেপি সেবার রাজ্যে ক্ষমতায় আসে। রমন সিং মুখ্যমন্ত্রী হন। তখন তাঁকে সাংসদ করে দল। ছত্তিশগড়ে বিজেপি যতদিন ক্ষমতায় ছিল, ততদিন তিনি দিল্লিতেই ছিলেন। ফলে দীর্ঘদিন রাজ্য রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছিলেন নিজেকে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি অরুণ সাও তাঁর ইস্তফার কথা স্বীকার করলেও বলেন, ভুল বোঝাবুঝি হয়ে থাকলে তা মেটানোর চেষ্টা হবে।