কলকাতা: শুক্রবার অশান্ত ভাঙড়ে যাচ্ছেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস।পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন জমাকে কেন্দ্র করে গত কয়েকদিনে দপায় দফায় উত্তপ্ত হয়েছে ভাঙড়। বৃহস্পতিবার কয়েকজনের মৃত্যুও হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে এলাকা পরিদর্শনে যেতে পারেন রাজ্যপাল, এমনটাই রাজভবন সূত্রে খবর। সূত্রে আরও খবর, শুক্রবার নিজের পূর্ব নির্ধারিত সব কর্মসূচি বাতিল করেছেন রাজ্যপাল। তবে এদিন ভাঙড়ে তিনি যাবেন কি না, এ বিষয়ে স্পষ্ট কোনও কিছু জানা যায়নি। বৃহস্পতিবার রাতে কলকাতা বিমানবন্দরে তাঁকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে রাজ্যপাল বলেন, সময় মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোনও কথা নয়, কাজ হবে এবার।
যদিও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার বিকেলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কোনও ক্ষেত্রেই তৃণমূল কংগ্রেস দায়ী নয়। তিনি বলেন, প্রায় ৭৩-৭৪ হাজার বুথ, সেখানে মাত্র তিনটে গন্ডগোল হয়েছে। তাও সেটা নিজেদের স্থানীয় ব্যাপারে। তৃণমূল কোনওভাবেই এতে জড়িত নয়। ২০০৩-এ সিপিএমের আমলে পঞ্চায়েত ভোটের দিন সম্ভবত ৩৬ জন মারা গিয়েছিল।
২০১৩ সালে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার মীরা পান্ডে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে এসেছিলেন। ৩৯ জন মারা গিয়েছিলেন। ইসলামপুর ও চোপড়ায় যা ঘটেছে, তার সঙ্গে পার্টি কোনওভাবেই জড়িত নয়। অনেককেই এবার পার্টি টিকিট দেয়নি। তাদের কার্যকলাপে সন্তুষ্ট নয় পার্টি। যারা মানুষের কাজ ভালো করে করেনি। ৯৯ শতাংশ ক্ষেত্রে আমরা প্রার্থীর গ্রহণযোগ্যতা দেখে এবার টিকিট দিয়েছি। ইসলামপুর-চোপড়ার যে ঘটনাটা নিজেদের মধ্যে, এর ভিতরে পার্টি জড়িত নয়। যারা এসব করছে, ঠিক করছে না। পুলিশকে বলে দিয়েছি, স্ট্রং অ্যাকশন নেওয়ার জন্য।
উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত ভোটে রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court )। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে। রাজ্য সরকার কেন্দ্রীয় বাহিনী বিরুদ্ধে ছিল। কিন্তু আদালত রাজ্যের আপত্তি খারিজ করে জানিয়ে দিল, ভোট হবে কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force) দিয়ে। এই নির্দেশের ফলে জোর ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার ও রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
প্রধান বিচারপতি টি এস শিভগননমের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রাজ্য সরকারকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জন্য কেন্দ্রের কাছে আবেদন জানাতে হবে। যে সমস্ত পুলিশকর্মী ভোটের ডিউটিতে থাকবেন তাদের প্রত্যেকের গলায় আই কার্ড ঝুলিয়ে রাখতে হবে। আদালতের মন্তব্য, আরও অপেক্ষা করলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়বে।