এই প্রচন্ড গরমে সূর্যের চোখরাঙানি থেকে কীভাবে ত্বকের জৌলুস ধরে রাখবেন তা ভাবলেই চিন্তার ভাঁজ পড়ছে কপালে? এমনিতে ত্বক স্বাস্থ্যোজ্জ্বল করে তোলার একাধিক উপায় রয়েছে তবে এই গরমে সব থেকে সহজ ও কার্যকরী উপায় হল আইস থেরাপি কিংবা স্কিন আইসিং। সহজ ভাষায় যাকে বলে মুখে বরফ ডলে নেওয়া। এই আইস থেরাপি নিয়মিত করলে ত্বকের জেল্লা বাড়বে এবং নানা রকম ভাবে ত্বকের উপকার হবে।
প্রত্যেক দু’দিন অন্তর কিংবা রোজ একবার করে এই আইস থেরাপি করলে তফাতটা আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন। কম তাপমাত্রায় ত্বকের উপরের স্তরে রক্তের চলাচল বাড়ে এর ফলে ত্বকের একাধিক উপকার হয়।
নানা রকম ভাবে এই আইস থেরাপি কাজে লাগাতে পারেন আপনি। তবে সব থেকে সহজ উপায় হল বরফের চার-পাঁচটি টুকরো একটি কাপড়ে বা রুমালে কিংবা তোয়ালেতে মুড়ে নিন। এমন ভাবে তোয়ালেটা রোল করবেন যাতে বরফ বেড়িয়ে না যায়।
এবার এই কাপড়ে মোড়া বরফের টুকরোগুলি গালে সার্কুলার মোশনে ডলতে থাকুন। এই থেরাপি ঠোঁট, জলাইন, থুতনি, নাক ও কপালে ভাল করে ডলে নিন। তবে ত্বকে চাপ দেবেন না। আলতো হাতে ডলতে থাকুন।
বরফের এই ঠান্ডা পেয়ে ত্বকের নীচে যে লিম্ফেটিক সিস্টেম রয়েছে সেখানে থেকে বাড়তি তরলের নিষ্কাশন করে। এর ফলে মুখের ফোলা ভাব কমে যায়।
এই একই কারণে চোখের তলায় যে ফোলাভাব থাকে তাও কমে যায়।
বরফ লাগালে মুখে যে ব্লাড ভেজেলগুলো বা রক্তনালী রয়েছে সেগুলি সঙ্কুচিত হয়ে যায়। এর ফলে মুখের রোমকূপ, কুচকানো চামড়া সারিয়ে তোলে। এর ফলে ত্বকের রঙ হালকা, আরও উজ্জ্বল ও দ্যূতিময় করে তোলে।
তবে এই আইস থেরাপির সময় একটা জিনিস মাথায় রাখতে হবে। আপনার ত্বক যতটা ঠান্ডা সহ্য করতে পারবে ততটাই ব্যবহার করুন। কোনও কিছুর অতিরিক্ত হলেই বিপদ। তাই এই বরফ লাগানোর পর যদি ত্বকে কোনও রকমের শিরশিরানি অনুভব করেন তা হলে অবিলম্বে এই আইস থেরাপি ব্যবহার করা বন্ধ করতে হবে।
(ছবি সৌ:Unsplash)