মুখে ব্রণ হলে সহজে পরিচর্যা করা যায় কিন্তু সমস্যা বাঁধে গায়ে ব্রণ বা বডি অ্যাকনে হলে। ইমোশনাল স্ট্রেস, হরমোনের কারণে, কোনও কারণে অ্যালার্জি, ত্বকের রোমকূপের ছিদ্র বন্ধ হয়ে যাওয়া কিংবা ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমনের মতো বিভিন্ন কারণে বডি অ্যাকনে(body acne) হতে পারে। আর এর ফলে বার বার গা চুলকানোর সমস্যা হতে পারে। জামাকাপড় পড়লে আরও বেশি গা চুলকায় এবং অস্বস্তি আরও বারে। তাই আপনারও যদি বডি অ্যাকনের সমস্যা হয় সেক্ষেত্রে এই পাঁচটি জিনিস মেনে চললে চুলকানি বা গা জ্বালার মত সমস্যার হাত থেকে অনেকটাই রেহাই পাবেন। কমবে অ্যাকনে।
- হাইড্রেশন বা ত্বকের প্রয়োজনীয় আর্দ্রতার জোগান
বডি অ্যাকনের থেকে রেহাই পাওয়ার সব থেকে সহজ উপায় হল শরীরের আর্দ্রতা বজায় রাখা। শরীরের টক্সিন বা বর্জ্য পদার্থ বেশি থাকলে এই বডি অ্যাকনের সমস্যা হয়। তাই বেশি জল খেলে এই সব বর্দ্য পদার্থ সহজেই শরীর থেকে বার করে দেওয়া যায়। অন্যদিকে যদি শরীরে আর্দ্রতার অভাব ঘটে তখন সেই ঘাটতি পূরণ করতে গেলে শরীরের বিশেষ গ্রন্থিগুলো অতিরিক্ত তেল নিঃসরণ করে। এর ফলে মুখে বা গায়ে ব্রণ বা ফুসকুড়ি সৃষ্টি হয়।তাই পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খেলে এই সমস্যা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
- বডি হাইজিন বা পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা মেনে চলা (practice body hygiene)
প্রত্যেকদিন ইষদুষ্ণজলে স্নান করা ভাল। বিশেষ করে সেই সব জায়গায় যেখানে কার আবহাওয়া আর্দ্রতাপূর্ণ। এতে ঘাম ও ময়লা মিশে সংক্রমণ যেমন ব্রণ বা ফুসকুড়ির সৃষ্টি হয় না।পাশাপাশি সপ্তাহে অন্তত দুবার ত্বক এক্সফোলিয়েট করুন। ত্বকের মৃত কোষ সরিয়ে ফেললে ব্যাক্টেরিয়া, রোমকূপের মুখ বন্ধ হয়ে যাওয়া কিংবা রোদে পোড়া দাগছোপ সবকিছুর হাত থেকে রেহাই পাবেন।
- প্রয়োজনে প্রসাধনীতে কিছু রদবদল করা (change in skincare ingredients)
বডি অ্যাকনের সমস্যা হলে, এই অবস্থার জন্য বিশেষ প্রসাধনী পাওয়া যায়। সেইগুলো ব্যবহার করুন।
যেমন অ্যাকনে ফাইটিং বডি ওয়াশ বা নন-কমেডোজেনিক বডি লোশন ব্যবহার করতে পারেন। এই ধরনের প্রসাধনী এক্সফোলিয়েশন ও রোমকূপের মুখ পরিষ্কার করতে ভীষণ কার্যকারী।
- সুতির জামাকাপড় পরা (wear cotton clothes)
আপনার ত্বক যদি সংবেদনশীল হয় তাহলে সুতির জামাকাপড় পরা ভাল। বডি অ্যাকনের সমস্যা থাকলে সিন্থেটিক ফেব্রিক যেমন সেটিন, সিল্ক, নেটের তৈরি পোশাক এড়িয়ে চলুন। গায়ের চামড়া যাতে নিশ্বাস নিতে পারে তাই ঢিলেঢালা জামাকাপড় পরা ভাল। সিন্থেটিক পোশাকে সমস্যা আরও বাড়তে পারে।
- খাদ্যাভ্যাসে বদল নিয়ে আসা (change in food habits)
অনেক সময় ভুল খাদ্যাভ্যাসের কারণে এই বডি অ্যাকনের সমস্যার সৃষ্টি হয়। তাই সুষম আহার খান।নিত্যদিনের খাদ্যতালিকায় ফলমূল শাকসবজি রাখুন। জাঙ্ক ফুড ও বেশি তেল মশলা যু্ক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।
এই নিয়মগুলো মেনে চললে দেখবেন সমস্যার অনেকটাই প্রতিকার হয়েছে। তবে এগুলো মেনে চলার পরও যদি কোনও লাভ না হয় তাহলে অবিলম্বে চিকিত্সকের পরামর্শ নিন।
(ছবি সৌজন্য: Unsplash)