গতি শ্লথ হলেও কোভিড ১৯-র আতঙ্ক কাটিয়ে জীবন এখন অনেকটাই চেনা ছন্দে ফিরছে। কোভিড পরিস্থিতিতে নয় হোম ডেলিভারির উপর ভরসা করেই কাটিয়েছেন, কিন্তু আর সম্ভব হচ্ছে না। অফিস, বাড়ির কাজ সামলে আবার অনলাইল ডেলিভারির জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী খুঁজে তালিকা তৈরি করে আনতে দেওয়া শুরু। ডেলিভারি যে সমবসময় আপনার সুবিধেমতো হয় তাও না। বরং এর থেকে অনেক সহজ বাড়ির কাছের বাজার থেকে সকাল সকাল টাটকা শাক-সবজি ফল-মূল কিনে আনা। একইভাবে বাড়ির নিত্যপ্রয়োজনীয় খুঁটিনাটি অনেক কিছুই নিজে হাতে করে কিনলে সুবিধে হয়। তবে করোনা পরিস্থিতি আগের তুলনায় স্বাভাবিক হলেও সংক্রমণের সম্ভাবনা এখনও কমেনি। তাই সংক্রমণ নিয়ে সতর্ক ও সচেতন থাকা জরুরি। তাই বাজারে করতে বেরোলে এই বিষয়গুলো মেনে চলুন। ভাল থাকবেন।
১. নিজের ও পরিবারের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে সপ্তাহন্তে বাজারে যাওয়ার অভ্যাসটা এ বার বদলে ফেলতে হবে। আর একান্তই যদি তা সম্ভব না হয় তা হলে চেষ্টা করুন এমন সময় যাওয়ার যখন দোকান-বাজারে ভিড় তুলনামূলক কম থাকবে। সোশাল ডিসট্যান্সিং মেনে চলুন। অনেকেই এই বিষয় নিয়ে বেপরোয়া, তাই সেই নিয়ে বিরক্ত না-হয়ে আপনি আপনার মতো করে সাবধান ও সতর্ক থাকুন। কথাতেই আছে সাবধানের মার নেই।
২. বাড়ির বাইরে বেরোলে মাস্ক বাধ্যতামূলক। ভুললে চলবে না। কারণ যাই হোক না কেন, মাস্ক খুলবেন না কিংবা মুখ থেকে নীচে নামাবেন না। মাস্ক পরার আগে মাথায় রাখবেন যেন নাকের উপর ঠিক ভাবে বসে, মাস্ক যেন ঢিলে না হয়ে যায়।
৩. বাড়ি ফিরে অন্য কিছুতে হাত দেওয়ার আগে হাত ভাল ভাবে ধুয়ে নিন। শাকসবজি ভাল করে হাত দিয়ে ডলে ধুয়ে নিন। এবং জামাকাপড় ও মাস্ক জীবাণুমুক্ত করে নিন কিংবা সাবান জলে ধুয়ে নিন।
৪. যেখান শাক-সবজি ও মাসকাবারির বাজার রেখেছেন সেটা জীবাণুমুক্ত করে নিন। এ ছাড়া বাজারে যাওয়ার সময় যে জিনিসপত্র সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন যেমন ফোন, পার্স, চাবি অবশ্যই জীবাণুমুক্ত করে নিন।