রূপচর্চায়, নারকেল অপরিহার্য। তা নারকেলের মালা হোক কিংবা ভিতরের শাঁস, কাজে আসে সবকিছু। রান্নায়, খেতে, বিভিন্ন সামগ্রী তৈরি করতে নারকেলের উপকারিতার সীমা-পরিসীমা নেই৷ বিশেষ করে শীতকালের রুক্ষ আবহাওয়ায় শুষ্ক ত্বক চটজলদি সারিয়ে তুলতে ন্যাচারাল ময়শ্চারাইজার হিসেবে নারকেল তেলের জবাব নেই।
নারকেলের এই উপকারিতার পিছনে রয়েছে এতে থাকা বেশ কিছু প্রাকৃতিক উপাদান এবং সেগুলির কার্যকারিতা।
সেগুলি কী কী জেনে নিন-
- নারকেল তেলে প্রোটিন, ভিটামিন ও প্রাকৃতিক খনিজ পদার্থ রয়েছে, যেগুলি আমাদের শরীরের পাচন ক্রিয়া ভাল রাখতে ভীষণ উপকারী। এর পাশাপাশি এই উপাদানগুলি আমাদের হাড়ের স্বাস্থ্য ভাল রাখে।
- নারকেলে আয়রন ও কপারের মতো উপাদান রয়েছে। এগুলি আমাদের শরীরের লোহিত রক্ত কণিকা বাড়াতে সাহায্য করে।
- বেলি ফ্যাট কমাতে পারে নারকেল তেল
- রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং হার্টের স্বাস্থ্য ভাল রাখে।
- নারকেলে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, এই উপাদান সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে খুবই কার্যকরী।
রূপচর্চায় কীভাবে ব্যবহার করবেন নারকেল? জেনে নিন-
ত্বকের পরিচর্যায় নারকেল
ময়শ্চারাইজার থেকে শুরু করে ফেস মাস্ক, লিপ বাম, ফেস অয়েল, সিরাম, নারকেলের তৈরি এই সব সামগ্রী ব্যবহার করতে পারেন। নারকেলের অ্যান্টি অক্সিজেন্ট ও অ্যান্টি ব্যাক্টেরিয়াল কার্যকারিতা রয়েছে, আর এগুলি ত্বকের জন্য দারুণ ভাল কাজ করে। ময়শ্চারাইজার হিসেবে ভীষণ ভাল কাজ করে নারকেল তেল। এবং ত্বকের আর্দ্রতা দীর্ঘক্ষণ ধরে রাখে। পাশাপাশি অ্যান্টি এজিং এজেন্ট হিসেবেও খুব ভাল কাজ করে নারকেল। অকালে বুড়িয়ে যাওয়া ত্বকের কোঁচকানো চামড়া ও বলিরেখা সারিয়ে তোলে।
চুলের পরিচর্যায় নারকেল তেল
চুলের যত্নে নারকেল তেল এক কথায় অপরিহার্য। তাই ইতিমধ্যেই বাজার ছেয়ে গেছে নারকেলের তৈরি বিভিন্ন রকমের প্রসাধনে। যেমন শ্যাম্পু, হেয়ার অয়েল, হেয়ার মাস্ক ও কন্ডিশনার। ত্বকের মতো চুলেও ভীষণ ভাল আর্দ্রতা জোগায় নারকেল। অন্যান্য তেলের তুলনায় নারকেল তেল হাল্কা হওয়ায় এটা চুলের সঙ্গে সহজে মিশে যায়। এর ফলে রুক্ষ ও শুষ্ক চুলে দ্রুত এবং খুব ভাল কাজ করে নারকেল তেল। এটা ব্যাক্টেরিয়া ও অন্যান্য জীবাণু থেকে মাথার ত্বকের রক্ষা করে। নারকেল তেল রোজ ব্যবহার করলে চুল খুব তাড়াতাড়ি বাড়ে এবং মজবুত ও ঝলমলে হয়ে ওঠে।
(ছবি সৌ: Unsplash)