বারুইপুর: বারুইপুর (Durga Puja 2023) দমদমার সর্দার পরিবারের ১৫০বছরের পুজো। বারুইপুরের পূর্বের দমদমা গ্রামে একবার বড় ধরনের সংঘর্ষ হয়েছিল। কথিত আছে, সেই সময় গ্রামের মানুষকে রক্ষা করতে মর্ত্যে নেমে দশ হাতে বন্দুক ধরেছিলেন মা দুর্গা (Maa Durga)। শত্রুপক্ষকে হারিয়ে রক্ষা করেছিলেন গ্রামকে। সেই ‘ইতিহাস’ মেনে আজও প্রতিমা বিসর্জনের আগেবন্দুক থেকে দুবার আকাশের দিকে গুলি ছোড়া হয়। আগে বয়স্করা করতেন। বর্তমান নব প্রজন্ম সেই রীতি এখনও চলে আসছে। তাই পুজোর আগে চলছে বন্দুক পরিষ্কার করার কাজ।
১৩০৭ বঙ্গাব্দ থেকে এই পুজো হয়। পরিবারের সদস্যদের চাঁদা তুলেই এই পুজো করত। সেই সময় দমদমা গ্রামে ছিল মাটির মন্দির। তার পর সর্দার পরিবার একটি নতুন পাকা মন্দির তৈরি করে। দুর্গামূর্তি স্থাপনও হয়। তখন থেকেই ঘটা করে পুজো করেন সর্দাররা। পুজো শুরু করেছিলেন মনোহর সর্দার, রঞ্জন সর্দার। এখনও গ্রামের মানুষজন পুজোর কয়েকদিন আনন্দে মেতে ওঠেন। ইতিমধ্যে, মন্দির সংস্কার করে সাজিয়ে তোলার কাজ শুরু হয়েছে। প্রতিমা তৈরির কাজ জোর কাদমে চলছে। জন্মাষ্টমীর দিন কাঠামো পুজোর পর প্রতিমা নির্মাণ শুরু হয় মন্দিরে।
আরও পড়ুন: বাঁকুড়ার রায় পরিবারে অষ্টধাতুর দুর্গা
বর্তমানে পরিবারের সদস্যরা দেশে-বিদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছেন। তবে সবাই বাড়ি আসেন পুজোর সময়। ষষ্ঠী থেকে নিরামিষ খাবার খান পরিবারের সদস্যরা। নবমীর দিন আমিষ খাওয়া হয়। পরিবারের সদস্যদের কথায়, প্রতিমাকে রুপোর গয়না পরানো হয়। বংশ পরম্পরায় প্রতিমা তৈরি করছে এক কুমোর পরিবার। পরিবারের সদস্য দিবাকর সর্দার বলেন, বংশপরম্পরায় এই পুজো করে আসছি আমরা। আমাদের দেবী খুব জাগ্রত। নিষ্ঠাভাবে মানত করলে সঙ্গে সঙ্গে তার ফল পাওয়া যায়। পরিবারের ১৫০ সদস্য সবাই ঝাঁপিয়ে পড়ি পুজোর আয়োজনে। অষ্টমীর দিন অঞ্জলির পর এক কুইন্টাল উপরে বাতাসা হরির লুট দেওয়া হয়। মানত পূরণের জন্য মহিলারা দণ্ডি কাটেন মন্দিরে।
দেখুন আরও অন্য খবর: