পান্ডা যদি আপনার ভীষণ প্রিয় জন্ত হয়, তা হলে তাদের চূড়ান্ত বাঁশগাছ প্রীতির কথা আপনার অজানা নয়। দিনে অন্তত ১১ থেকে ১৫ কেজি বাঁশগাছ মনের আনন্দে খেয়ে নিতে পারে। আর বাঁশগাছের কারণেই পান্ডাদের এ-রকম নরম, উজ্জ্বল লোম কি না, তা নিয়ে গবেষণা হতেই পারে। তবে আপনি কি জানেন, আপনার ত্বকের সৌন্দর্য্য দ্বিগুণ করতে পারে বাঁশ? আজ ওয়ার্ল্ড ব্যাম্বু ডে- তে চলুন জেনে নেওয়া যাক কীভাবে ত্বকের পরিচর্যায় কাজে লাগানো যায় বাঁশ৷
কীভাবে ত্বকের জন্য উপকারী
বিশেষজ্ঞদের মতে, বাঁশের অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি, অ্যান্টি-অ্যাকনে, অ্যাস্ট্রিনজেন্ট ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কার্যকারিতা আছে। এর ফলে ত্বকের ক্লান্তি দূর করতে ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে ভীষণ ভাল কাজে করে বাঁশ দিয়ে তৈরি বিভিন্ন প্রসাধনী।
রূপচর্চায় বাড়ছে বাঁশের জনপ্রিয়তা
একইভাবে ত্বকে প্রয়োজনীয় আর্দ্রতা জোগায় বাঁশ। পাশাপাশি ত্বকের জেল্লাও বজায় রাখে এবং চামড়া টানটান রাখে।
ত্বকের জন্য বাঁশ এত উপকারী কেন?
ত্বকের প্রায় সব সমস্যায় বাঁশের নির্যাস ভীষণ কার্যকর। এর কারণ হল, বাঁশগাছের বিশেষ একটি উপাদান সিলিকা। এই প্রাকৃতিক উপাদান ত্বকের অত্যন্ত প্রয়োজনীয় প্রোটিন কোলাজেন উৎপাদনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এখানেই শেষ নয়, এই সিলিকা পরিবেশ দূষণের প্রকোপ এবং সূর্যের ক্ষতিকারক অতিবেগুনি রশ্মি থেকে ত্বকের রক্ষা করে।
বাঁশ রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক সিলিকা
আর এই কারণেই ইদানীং অধিকাংশ নামীদামি ব্র্যান্ডের কসমেটিক্সে উপকরণ হিসেবে বাঁশকে রাখা হচ্ছে।
অন্যদিকে, বেশ কয়েকটি দেশে বিশেষ করে সাউথ আফ্রিকাতে পেটের সমস্যায় বাঁশ ব্যবহার করা হয়।
কোষ্ঠকাঠিন্য সারাতে এবং হজমক্রিয়া ঠিক রাখতে বাঁশের ব্যবহার আছে।
বিশেষজ্ঞরা আরও জানিয়েছেন, বাঁশে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, ভিটামিন ও প্রাকৃতিক খনিজ উপাদান রয়েছে। এবং উচ্চ রক্তচাপ, হার্টের সমস্যা ও ডায়বেটিসের সমস্যা কাজে লাগানো যেতে পারে বাঁশ।
বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় বেশ কার্যকরী বাঁশ
অসম ও অন্ধ্রপ্রদেশের ভাইজ্যাগে বাঁশের তৈরি বিভিন্ন পদ বেশ জনপ্রিয়। বিশেষ করে অসমের বাহ গাজর গাহোরি ও অন্ধ্রের ব্যাম্বু চিকেনের নাম শুনলেই ভোজনরসিকদের জিভে জল আসতে বাধ্য।
বাঁশ দিয়ে রূপচর্চা নাকি সুস্বাদু পদ রান্না আপনি কোনটা বেছে নেবেন?