শীতকালে একদিকে কবজি ডুবিয়ে খাওয়া আর অন্যদিকে প্রচন্ড ঠান্ডায় লেপ-কম্বলের মায়া কাটাতে বিছানায় বাড়তি সময় কাটানো, আপনি একা নন এইভাবে ওজন বেড়েছে অনেকের। তবে চিন্তার কিছু নেই নিত্য দিনের খাদ্যাভাসে সামান্য রদবদলে এই ওজন বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব। এমনিতেই আবহাওয়া বদলের সঙ্গে খাদ্যতালিকায় কিছু পরিবর্তন প্রয়োজনীয়। এতে শরীর সুস্থ থাকে। তাই শীতকালে বেড়ে যাওয়া ওজন কমাতে ও একইসঙ্গে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে এবং গাট হেলথ ভাল লাগতে খেতে পারেন অ্যালোভেরার জুস।
এই নিয়ে তাঁর ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন পুষ্টিবিদ আজরা খান। গ্রীষ্মকালে এই জুস খেলে শরীরের জন্য যেমন ভাল আবার আরামদায়কও।
অ্যালোভেরা জুসে পলিফেনল রয়েছে, এই পলিফেনলে প্রচুর পরিমানে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বক ও শরীরের জন্য ভীষণ উপকারী। অ্যালোভেরাতে ল্যাক্সেটিভ ও অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল কার্যকারিতা রয়েছে। এর ফলে যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা আছে কিংবা দাঁতের সংক্রমণ থাকলে উপকার পেতে পারেন।
কীভাবে বানাবেন এই অ্যালোভেরা জুস-
বাড়িতে অ্যালোভেরা গাছ থাকলে খুবই ভাল। এক্ষেত্রে গাছ থেকে কেটে অ্যালোভেরা টুকরোগুলির খোসা ছাড়িয়ে নিন। এবার জলের সঙ্গ মিশিয়ে ব্লেন্ডারে জুসে করে নিন।
অ্যালোভেরার রস ছেঁকে একটি গ্লাসে ঢেলে নিন এবং স্বাদ বাড়াতে পাতিলেবুর রস মিশিয়ে দিন।
খালি পেটে এই জুস খেয়ে নিন।
তবে অ্যালোভেরা গাছ থেকে যে হলদে রঙয়ের পদার্থ বেরোয় সেটার ব্যবহারে সতর্ক থাকতে হবে। যাদের পেটের সমস্যা আছে তারা ওই হলদে পদার্থটি পুরো বেড়িয়ে গেলে তারপর অ্যালোভেরা ব্যবহার করুন। এর জন্য অ্যালোভেরা গাছে থেকে যে টুকরোটি কাটছেন সেটা গোড়ার দিকটা নীচে রেখে কিছুক্ষণ অ্যালোভেরার টুকরোটা দাঁড় করিয়ে রেখে দিন। এতে হলুদ পদার্থটি বেড়িয়ে গেলে এবার অ্যালোভেরা টুকরো দিয়ে জুস বানিয়ে ফেলুন।
এছাড়া আগে থেকে কোনও শরীরিক সমস্যা যেমন উচ্চরক্তচাপের সমস্যা কিংবা রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি থাকলে, এই অ্যালোভেরা জুস খাওয়ার আগে চিকিত্সকের সঙ্গে অবশ্যই আলোচনা করে নিন।
আরও পড়ুন: অ্যালোভেরার সাত-সতেরো…