কথায় আছে ভাল মন্দ মিশিয়ে মানুষ, ভাল কিছুর পাশাপাশি আমাদের ব্যক্তিত্বের কিছু খারাপ বা নেতিবাচক দিকও রয়েছে। সময় থাকতে আপনার স্বভাবের সেই সব খামতিগুলো জেনে যদি সেই নিয়ে কাজ করতে চান তা হলে আজকের এই প্রতিবেদনটি আপনার জন্য। দেখে নিন তুলা, বৃশ্চিক, ধনু, মকর কুম্ভ ও মীন রাশির নেতিবাচক দিকগুলি-
তুলা: জীবনে যে কোনও রকমের অপ্রীতিকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে পালিয়ে লাভ নেই। সত্যকে নিজের সুবিধে মতো উপস্থাপিত করাই শেষ কথা নয়।
বৃশ্চিক: এই রাশির জাতকরা সব বিষয়ে সহজেই উত্সাহিত হন ঠিকই কিন্তু মানুষকে সহজে বিশ্বাস করতে পারেন না। এখানেই শেষ নয় নিজেরা যেমন অন্যদের বিশ্বাস করতে পারেন না তেমন আবার এদের মধ্যে অন্যদের বিশ্বাস ভাঙার প্রবণতাও বেশি থাকে। চরিত্রের এই নেতিবাচক দিকটি নিয়ে অবশ্যই কাজ করা উচিত।
ধনু: এই রাশির জাতকদের এক কথায় ঠোঁটকাটা বললেও কম বলা হবে। স্পষ্টকথা বলা ভাল কিন্তু এমন কথা যা অন্যকে দুঃখ দিতে পারে এরা সেই সব কিছুরই ধার ধারে না।
মকর: এই রাশির জাতকদের মধ্যে সেই সব মানুষকে এড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতা কাজ করে যারা এদের সব থেকে বেশি ভালবাসে। ক্ষমতা পাওয়ার একটা নেশা বা খিদের এদের মধ্যে কাজ করে কিন্তু অধিকাংশ সময় এই নেশায় মেতে উঠে এরা নিজেদেরকেই হারিয়ে ফেলেন। চরিত্রের এই দিকে নিয়ে মকর রাশির জাতকদের সচেতন হওয়া উচিত এবং এই প্রবণতা নিয়ন্ত্রণে রাখা উচিত।
কুম্ভ: এই রাশির জাতকদের নিজেদের নিয়ে সারাক্ষণ ব্যস্ত না থেকে সামাজিক সম্পর্ক স্থাপনে মনোযোগী হওয়া উচিত। অন্যদের সঙ্গে বেশি মেলামেশা করা উচিত। এরা মাঝে মধ্যেই চূড়ান্ত উদাসীন ও নিষ্ঠুর ব্যবহার করেন। চরিত্রের এই প্রবণতাকে নিয়ন্ত্রণে রাখা উচিত।
মীন: এই রাশির জাতকরা ভীষণ আবেগপ্রবণ হন। মানুষকে প্রশয় দিতে ভালবাসেন। অন্যের আবেগজনিত সমস্যায় প্রথমে নিজেরাও ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে পড়ে। কিন্তু পরে মীন রাশির জাতকদের মনে এই মানুষের প্রতি বিতৃষ্ণার সৃষ্টি হয়।
আরও পড়ুন: মেষ থেকে কন্যা রাশির জাতকদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য যা সময় থাকতে শুধরে নেওয়া ভাল
(ছবি সৌ: Zodiac fire)