আট কিংবা আশি প্রত্যেকের মুখেই হাসি ফোটাতে পারে ডিম। ডিমে কী আছে আর কী নেই! ভিটামিন, প্রোটিন সহ প্রাকৃতিক খনিজ পদার্থে পরিপূর্ণ ডিমকে তাই এক কথায় পুষ্টির পাওয়ারহাউস বলা হয়। আর ডিম দিয়ে যে কোনও পদই বানান না কেন স্বাদ আর পুষ্টির কোনও খামতি হবে। তাই ডিম ভাল লাগে এ রকম মানুষে মেলা ভার। যাঁরা নিরামিষ খান না তাঁদের ব্যপার আলাদা। ইদানীং অনেকেই ডিম কে সুপারফুড হিসেবেও সম্বোধন করেন। তাই আজ ওয়ার্ল্ড এগ ডে-তে বিশ্বজুড়ে থাকা ডিমের অগুনতি ভক্তদের জানাই হ্যাপি ওয়ার্ল্ড এগ ডে। হ্যাঁ, এবছরের ওয়ার্ল্ড এগ ডে পরেছে ৮ই অক্টোবর। প্রত্যেক বছর অক্টোবর মাসের দ্বিতীয় শুক্রবার ওয়ার্ল্ড এগ ডে হিসেবে পালিত হয়।
১৯৯৬ সালে, ডিমের তুমুল জনপ্রিয়তা ও স্বাস্থ্যের জন্য দারুণ উপকারিতার কথা মাথায় রেখে ভিয়েনাতে ওয়ারর্ল্ড এগ ডে পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই থেকে প্রত্যেক পালিত হয় এগ ওয়ার্ল্ড ডে। বলা বাহুল্য যত দিন গেছে বেড়েছে ডিমের জনপ্রিয়তা , বেড়েছে, ডিম খেতে পছন্দ করা মানুষের সংখ্যা এবং ওয়ার্ল্ড এগ ডে উপলক্ষ্যে, উদযাপনের উদ্দাম। তবে এ বছর একটু আলাদা, এবছর যে ওয়ার্ল্ড এগ ডে-র সিলভার জুবলি, তাই উদযাপনের ধুম আরও বেশি জানিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল এগ কমিশন।
এ বছরের ওয়ার্ল্ড এগ ডে-র থিম “এগস ফর অল: নেচারস পার্ফেক্ট প্যাকেজ (Eggs for all: Nature’s Perfect Package)”। শৈশব থেকে বৃদ্ধাবস্থা পর্যন্ত আমাদের শরীরে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ডিমের উপকারিতা। শিশুদের সার্বিক বিকাশের পাশাপাশি বয়স্কদেরও মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা, শারীরিক ক্ষমতা বাড়াতে ডিম সমান কার্যকরী।অন্যদিকে আবার অ্যানিম্যাল সোর্স প্রোটিন হিসেবে ডিমের ব্যবহার এনভায়রনমেন্ট ফ্রেন্ডলি। ডিম নিয়ে আরও এমনি কিছু তথ্য রইল আপনার জন্য। ডিম যদি আপনার অন্যতম প্রিয় খাবারের একটি হয় তাহলে এই তথ্যগুলো নিশ্চয় আপনার জানা-
- ডিমে ১৩ রকমের ভিটামিন ও মিনারেল আছে যেগুলো আমাদের শারীরিক ক্রিয়া প্রক্রিয়ার জন্য আবশ্যক। এর পাশাপাশি ডিমকে হাই প্রোটিন খাবার হিসেবেও স্বীকৃতি দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
- আর ডিমের “বায়োআ্যভেলেবিলিটি” (bioavailability) সহজে পাওয়া যায় এবং নিউট্রিয়েন্ট ডেন্স(nutrient dense) মানে পুষ্টিতে পরিপূর্ণ, এই দুটি বৈশিষ্ট্যের কারণে, বলা হয় বিশ্বের সার্বিক স্বাস্থ্যের উন্নয়নকে (human health outcomes) সরাসরি প্রভাবিত করতে পারে এটি।
- ডিম অত্যন্ত পুষ্টির তাই আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলা, চোখের দৃষ্টিশক্তি ভাল রাখতে এটি কার্যকরী।
- ডিমে কোলিন (choline) নামক একটি প্রাকৃতিক পদার্থ রয়েছে। এই পদার্থটি ভ্রুন অবস্থা থেকে জন্মে প্রথম ১০০০ দিন পর্যন্ত মস্তিষ্কেক বিকাশের জন্য অত্যন্ত জরুরী। তাই বলা বাহুল্য গর্ভাস্থায় এবং শিশুর জন্মের পর (expecting and lactating mothers) ডিম খেলে নবজাতকের পক্ষে তা বেশ উপকারী।
- ডিমে আয়রন, সেলেনিয়াম ও ভিটামিন ডি আছে, বৃদ্ধাবস্থায় এই পুষ্টিগুলো অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
- ডিম সহজপাচ্য ও এতে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন ডি থাকায় এটি বাচ্চাদের সার্বিক বিকাশের জন্য কার্যকরী। এবং এটি সহজলভ্য তাই উন্নয়নশীল দেশগুলির কাছেও খাদ্য হিসেবে ডিম বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
ছবি সৌজন্য: IEC