জলপাইগুড়ি: সপ্তমীর সকাল থেকেই মন ভার। সবাই পুজো দেখতে উৎসবে মেতে উঠলেও বয়সের ভারে পুজো দেখা হবে না অনেকের। পুজো (Durga Puja) দেখতে নিয়ে যাওয়ারও কেউ নেই। এই আক্ষেপ নিয়ে নিজেদের বাড়িতেই বসেছিলেন ধূপগুড়ি (Dhupguri) ব্লকের প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকার প্রবীণরা (Senior Citizen)। কিন্ত জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) জেলা পুলিশের ধূপগুড়ি (Dhupguri) থানার আইসির ব্যবস্থাপনায় বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হল।
ধূপগুড়ি ব্লকের বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ভিলেজ পুলিশকে দিয়ে খোঁজ নেওয়া হয় এলাকার প্রবীণদের বিষয়ে। যাঁরা বয়সের ভারে পুজোর উৎসবে সামিল হতে বাধার সম্মুখীন। তৈরি হয় তালিকা। রীতিমতো বাস ভাড়া করে বেলা তিনটে নাগাদ প্রায় ২২ জন প্রবীণ মহিলা এবং পুরুষকে নিয়ে ধূপগুড়ি থানার একটি বিশেষ দল বেরিয়ে পড়েন পুজো পরিক্রমায়। ধূপগুড়ির শহরের প্রায় সব কটি পুজো মণ্ডপেই পরিবারের মতো পুলিশ কর্মীরা বয়স্কদের হাত ধরে প্রতিমা দর্শন করান। তাঁরা মেতে উঠেন শারদ উৎসবের আনন্দে।পুলিশের কথা অনুযায়ী, উৎসবের দিনগুলোতে আইন শৃঙ্খলা রক্ষার্থে অনেক পুলিশ কর্মীকেই পরিবার থেকে দূরে থাকতে হয়। সেই জায়গায় প্রবীণদের নিয়ে পুজো দেখতে বেড়িয়েও তাঁদেরও যেন মনে হয় পরিবার সঙ্গে রয়েছেন।
আরও পড়ুন: সুকান্ত ভট্টাচাৰ্যর চিঠি, কবিতায় পুজো মণ্ডপ
জেলা ডেপুটি পুলিশ সুপার (অপরাধ) বিক্রমজিৎ লামা বলেন, জেলা জুড়ে বিভিন্ন থানায় এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।ভালো লাগছে। মানুষের সেবায় পুলিশ বরাবরই থাকে। প্রবীণদের ক্ষেত্রেও একইভাবে পুলিশ রয়েছে। পুলিশের উদ্যোগে পুজো দেখতে বেরনো ধলেশ্বরী রায়, ক্ষিরোবালা বর্মনরা বলেন,বাড়িতে তেমন কেউ নেই ঘোরানোর মতো।তাই প্রতিবছর বাড়িতেই থাকি।এবার ভালো লাগল যে পুলিশ নিয়ে বেরিয়েছে।
আরও খবর দেখুন