কলকাতা: ডিসেম্বরে শীতের আমেজে মজে বড়দিনের (Christmas day) আনন্দে মেতে ওঠেন সকলেই। বাচ্চাদের কাছে এই দিনটি ভীষণ আনন্দের একটা দিন। বড়দিনের আগের রাতে পালন করা হয় ক্রিসমাস ইভ। অনেকেই মনে করে, এই রাতেই বাড়ি বাড়ি স্লেজগাড়ি চেপে মোজার ভিতরে উপহার রাখতে আসে প্রিয় সান্তাক্লজ (Santa Claus)। তার থেকে উপহার পাওয়ার আশায় শুধু ছোটরা কেন, বড়রাও মুখিয়ে থাকে। রাতে শুতে যাওয়ার আগে মোজা ঝুলিয়ে রাখা হয় ঘরের একটি কোণে। ওই মোজাতেই নাকি সান্তা পছন্দের উপহারটি দিয়ে যাবেন।
বাস্তবের মাটিতে এই কথাগুলো কাল্পনিক বলেই মনে করা হয়। কিন্তু না, সান্তাক্লজ আছেন ঠিকই। চতুর্থ শতাব্দীর তুরস্কে সেন্ট নিকোলাস নামে এক ধনী ব্যক্তির নাম শোনা যায়। ছোট বেলাতেই তিনি বাবা-মাকে হারিয়েছিলেন। গরিব মানুষদের তিনি ভীষণ সাহায্য করতেন। গোপনে ছোটোদের জন্য উপহারও রেখে আসতেন নিকোলাস।
আরও পড়ুন: জানেন ভারতবর্ষে কবে প্রথম হয়েছিল বড়দিন-এর কেক?
একবার এক ব্যক্তি এতটাই অর্থাভাবে পড়েছিলেন যে মেয়ের বিয়ে দিতে পারছিলেন না। সেই খবর পেয়ে সেন্ট নিকোলাস ওই ব্যক্তির বাড়ির ছাদে উঠে চিমনিতে একটি সোনার থলি রেখে আসেন। সেদিনই চিমনিতে মোজা শুকোতে দিয়েছিলেন ব্যক্তিটি। মোজার মধ্যে সোনা ভর্তি থলি দেখে চমকে যান তিনি। বাস্তবের সেন্ট নিকোলাসকেই কাল্পনিক সান্তা বলে মনে করা হয়।