আজ, বুধবার কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনের (Congress President Election) ভোট গণনা (counting)। দুপুরের মধ্যেই পরিষ্কার হয়ে যাবে, ২৪ আকবর রোডের মালিকানা কে পাবেন। প্রায় ২২ বছর পর গান্ধী পরিবারের বাইরে কোনও কংগ্রেস নেতার হাতে কংগ্রেসের ব্যাটন উঠে আসবে। কংগ্রেসে শেষ সভাপতি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছিল সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi) এবং জিতেন্দ্র প্রসাদের মধ্যে। সোনিয়া পেয়েছিলেন ৭৪৪৮ টি ভোট। জিতেন্দ্র প্রসাদের ভাগ্যে জুটেছিল মাত্র ৯৪ টি ভোট। তারপর এবার সভাপতি পদে নির্বাচন হল।
কংগ্রেসের অন্দরের খবর, মল্লিকার্জুন খড়্গের সভাপতি হওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা। যে যতই অস্বীকার করুন, খড়্গের (Mallikarjun Kharge) মাথায় হাত রয়েছে গান্ধী পরিবারের। খড়্গে আগেই বলেছেন, সভাপতি হলে তিনি গান্ধী পরিবারের সদস্যদের পরামর্শ মেনেই চলবেন। এতে তাঁর লজ্জা পাওয়ার কিছু নেই।
আরও পড়ুন: Subrata Bhattacharya: ডেঙ্গিতে আক্রান্ত সুব্রত ভট্টাচার্য, চিকিৎসা চলছে হাসপাতালে
প্রশ্ন উঠেছে, গান্ধী পরিবারের বাইরে যেই সভাপতি হন না কেন, তিনি কি স্বাধীন ভাবে কাজ করতে পারবেন, নাকি পদে পদে তাঁকে গান্ধী পরিবারের (Gandhi Family) দ্বারস্থ হতে হবে? এটা অস্বীকার করে লাভ নেই, যিনিই সভাপতি হবেন, তাঁকে গান্ধী পরিবারের কথামতোই চলতে হবে। এটাই কংগ্রেসের পরম্পরা। প্রবীণ কংগ্রেস নেতা সোমবারই বলেছেন, নতুন সভাপতিকে গান্ধী পরিবারের মত নিয়েই চলতে হবে। বাইরের কেউ সভাপতি হচ্ছেন মানেই কংগ্রেসে গান্ধী পরিবারের গুরুত্ব কমে গেল, এটা ভাবা ভুল।
তবে কংগ্রেসে সভাপতি পদে নির্বাচন নিয়ে দলের অন্দরে খুশির পরিবেশ। বিক্ষুব্ধ নেতারা চাইছিলেন, গান্ধী পরিবারের বাইরে কেউ সভাপতি হন নির্বাচনের মাধ্যমে। জি ২৩ গোষ্ঠীর এটা বড় দাবি ছিল। সেই দাবি মান্যতা পেয়ে গিয়েছে। বিক্ষুব্ধ অনেক নেতাই মল্লিকার্জুনের পাশে দাঁড়িয়েছেন। নতুন সভাপতি হওয়ার পরে এই জি ২৩ গোষ্ঠীর প্রভাবও কমে যাবে বলে অনেকে মনে করছেন। এক প্রবীণ নেতা বলেন, এরপরে আর এই গোষ্ঠীর কোনও অস্তিত্বই থাকবে না।