নয়াদিল্লি: শ্রদ্ধা খুনে তার সঙ্গী আফতাব আমিন পুনাওয়ালার (Aftab) নারকো পরীক্ষার অনুমতি চেয়ে আদালতে আবেদন জানাল দিল্লি পুলিশ (Delhi Police)। দিল্লির সাকেট আদালতে আফতাবের নারকো পরীক্ষা (Narco-Test) করতে চাওয়ার আর্জি জানানো হয়েছে। এদিকে, ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের মতে, শ্রদ্ধার দেহাংশের ডিএনএ পরীক্ষা রীতিমতো এক চ্যালেঞ্জের ব্যাপার। কারণ, তাঁদের কাছে যে নমুনা এসেছে, সেগুলি বেশ পুরনো। অন্তত ২ সপ্তাহ সময় লাগবে ডিএনএ পরীক্ষা শেষ করতে।
শ্রদ্ধা ওয়াকারকে খুন করার কয়েকদিন পর আফতাব স্থানীয় এক ডাক্তারের কাছে যায়। তার হাতে ছোট একটি কাটার ক্ষত দেখাতে ডাক্তারের কাছে গিয়েছিল সে। আফতাব পুলিশের কাছে একথা জানিয়েছে। মঙ্গলবারই পুলিশ আফতাবকে নিয়ে সেই জংলা এলাকায় যায়। সে পুলিশকে জানিয়েছে, খুনের পর দেহের টুকরো ফেলার জন্য গুগল ম্যাপের সাহায্য নিয়েছে। শুধু তাই নয়, কোন ধরনের চপার দিয়ে মানবদেহ কাটা সম্ভব, তাও খুঁজে বের করে সে। পুলিশ জানিয়েছে, যেহেতু আফতাব একজন প্রশিক্ষিত শেফ, তাই মাংসের টুকরো করতে সে জানত। খুনের পর আফতাব শ্রদ্ধার শরীর থেকে লিভার ও অন্ত্র বের করে তাকে কুচিকুচি করে ফেলে।
আরও পড়ুন: Spurious Cancer Drugs: ক্যানসার সারাতে চান? টোপ ফেলে জাল ওষুধের কারবার ফেঁদে শ্রীঘরে ডাক্তার
পুলিশের কাছে সে এও বলেছে যে, ১৮ মে খুনের দিনের এক সপ্তাহ আগেই শ্রদ্ধাকে খুনের কথা ভেবেছিল। কিন্তু, ঠিকমতো সুযোগ পায়নি। ওইদিন যখন ঝগড়া চরমে ওঠে, তখন শ্রদ্ধা কাঁদতে থাকে। সেই দুর্বল মুহূর্তেই শ্রদ্ধাকে খুন করে বলে সে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে। আফতাব বলেছে, শ্রদ্ধা তাকে পদেপদে সন্দেহ করত। কারও সঙ্গে ফোনে কথা বললেও সে ভাবত আফতাব তাকে ঠকাচ্ছে। আর তা নিয়ে অশান্তি করত। বাড়ির অমতে শ্রদ্ধা আফতাবের সঙ্গে বেরিয়ে আসার পর সে বিয়ের জন্য চাপ দিত। তা নিয়েও দুজনের মধ্যে অশান্তি লেগেই থাকত।