Placeholder canvas

Placeholder canvas
HomeদেশPollution of Adani Power Project: আদানি গোষ্ঠীর বিদ্যুৎকেন্দ্রের দূষণ ও মিথ্যাচার নিয়ে...

Pollution of Adani Power Project: আদানি গোষ্ঠীর বিদ্যুৎকেন্দ্রের দূষণ ও মিথ্যাচার নিয়ে চোখে ঠুলি গুজরাত সরকারের

Follow Us :

আমেদাবাদ: পরিবেশ দূষণ (Environment Pollution) ও আবহাওয়ার পরিবর্তন (Climate Change) নিয়ে ভারত (India) যখন বিশ্বমঞ্চে গালভরা তত্ত্বকথা শোনাচ্ছে, তখন মোদি-শাহের জুড়িদার শিল্পগোষ্ঠী আদানি গ্রুপ (Adani Group) পরিবেশে সর্বনাশ করে চলেছে। আর যা দেখেও চোখে ঠুলি পরে রয়েছে সরকার। 

গুজরাতের মুন্দ্রা (Mundra) শহর ঘেঁষা আদানি গ্রুপের বিশাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র (Power Plant) রোজ বিপুল পরিমাণে বিষ ছড়াচ্ছে বাতাসে। সব জেনেশুনেও চুপ করে রয়েছেন রাজ্যের ভূমিপুত্র প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi) এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। পরিবেশ আইনভঙ্গকারী আদানিদের বিরুদ্ধে এই তথ্য যে সে কেউ দেয়নি, খোদ কন্ট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেলের (CAG) রিপোর্টে। এবছরের ২২ সেপ্টেম্বর গুজরাত (Gujarat) বিধানসভায় এই রিপোর্ট পেশও করা হয়। যেখানে বলা হয়েছে, গুজরাত দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ (GPCB) সব জেনেও আদানি পাওয়ার (মুন্দ্রা) লিমিটেডের (APL) বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।

আরও পড়ুন: Mithun Chakraborty: পাখির চোখ পঞ্চায়েত ভোট, বিজেপির প্রচার-অস্ত্র মিঠুন এলেন শহরে

ক্যাগ রিপোর্টে বলা হয়েছে, তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপন্ন ফ্লাই অ্যাশ (Fly-Ash) কোনও নিচু জমিতে ফেলতে হলে গুজরাত দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের অনুমতি প্রয়োজন। কিন্তু, আদানি গোষ্ঠী ১৫.৪২ লক্ষ টন বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ছাই ফেলে নিচু জমি ভরাট করেছে। এক্ষেত্রে পর্ষদের কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি। উপরন্তু, পর্ষদকে ভাঁওতা দিয়ে বলা হয়েছে, ছাই যথাযথভাবে ব্যবহার করা হয়েছে। ক্যাগ রিপোর্টে এও বলা হয়েছে, এরপরও গুজরাত দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ আদানিদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। মিথ্যাচারের বিরুদ্ধেও টুঁ শব্দটি করেনি।

ক্যাগ রিপোর্টে যে সময়কালের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, তখন গুজরাতে অধীশ্বর ছিলেন নরেন্দ্র মোদি। তাঁর মুখ্যমন্ত্রিত্বকালেই এত বড় বেআইনি কাজ হয়েছে। পরিবেশ দূষণের সতর্কতা সত্ত্বেও সেই আমলেই মুন্দ্রায় ৪৬২০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন আদানিদের তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র ছাড়পত্র পায়।

প্রসঙ্গত, মুন্দ্রাতেই আদানিদের মালিকানায় একটি বেসরকারি সমুদ্র বন্দর রয়েছে। এলাকার মৎস্যজীবী ও কৃষকদের কথায়, বিদ্যুৎকেন্দ্রের দূষণে সামুদ্রিক জৈবচক্রের ক্ষতি হচ্ছে। মিষ্টি জলের নদী-পুকুর লবণাক্ত হয়ে যাচ্ছে। এমনকী চাষের ফসলের উপরে বিদ্যুৎকেন্দ্রের ছাই উড়ে এসে পড়ছে। মৎস্যজীবী সংগঠনের এক নেতা বলেন, কারখানার জন্য মাছের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। উপকূলবর্তী বিশাল সংখ্যক মানুষের যা দৈনন্দিন রুটিরুজি।

স্থানীয় এক কৃষক বলেন, কচ্ছ উপসাগরীয় এলাকা মুন্দ্রা বিখ্যাত খেজুর গাছের জন্য। এখানকার বহু মানুষ খেজুর উৎপাদন ও প্রক্রিয়াকরণ শিল্পের উপর নির্ভরশীল। কিন্তু কয়েক দশক ধরে এখানকার মাটিতে লবণাক্ততা বেড়ে গিয়েছে। যার ফলে ব্যাপকভাবে মার খাচ্ছে খেজুর চাষ। অনেকেই আছেন যাঁরা আগে খেজুর চাষ করে সংসার পালন করতেন, তাঁরা এলাকা ছেড়ে অন্যত্র কাজের খোঁজে চলে গিয়েছেন। এছাড়াও চাষের জমিতে ছাই এসে পড়ায় অন্য ফসলেরও ক্ষতি হচ্ছে বলে জানান তিনি।

এছাড়াও আদানি গোষ্ঠী সরকারের নির্দেশমতো দূষণ পর্যবেক্ষণের অনলাইন সিস্টেম বসায়নি। ২০১৬ সালে কেন্দ্রীয় পরিবেশ, বন ও আবহাওয়া পরিবর্তন সংক্রান্ত মন্ত্রক এই নির্দেশ দিয়েছিল। মুন্দ্রা এলাকায় বাজরা, তুলো, গম, খেজুর ও রেড়ি উৎপন্ন হয়। শুধু ফসলেরই নয়, বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রভাবে স্থানীয় মানুষের মধ্যে বিভিন্ন রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। তাঁদের মধ্যে শ্বাসকষ্ট, হৃদরোগ দেখা যাচ্ছে। ভয়ঙ্কর বায়ু দূষণের কারণে এরকম হচ্ছে বলে মনে করছে চিকিৎসক মহল।

RELATED ARTICLES

Most Popular