আগরতলা: আন্তর্জাতিক সীমান্তে টহলদারির সময়ে আচমকা হামলা চালাল জঙ্গিরা। ওই হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন সীমান্তরক্ষী বাহিনী(BSF)র দুই জওয়ান। যাদের একজন সাব ইনসপেক্টর ও অপরজন কনস্টেবল। জওয়ানদের মেরে অস্ত্র নিয়ে চম্পট দিয়েছে জঙ্গিরা।
আরও পড়ুন- খুন না আত্মহত্যা? বীরভূমে বিজেপি বুথ সভাপতির অস্বাভাবিক মৃত্যু
মঙ্গলবার সকালের দিকে ঘটনাটি ঘটেছে ত্রিপুরার ধলাই জেলায় চৌমানু পুলিশ স্টেশনের কাছে আরসি নাথ বর্ডার আউটপোস্টের কাছে মানিকপুরে। সাত সকালে টহলদারি চলাকালীন ত্রিপুরার সীমান্তে জঙ্গি হানা। ওই রাজ্যের রাজধানী শহর আগরতলা থেকে ঘটনাস্থলের দূরত্ব প্রায় ৯০ কিলোমিটার।
আরও পড়ুন- দিল্লির দলিত কন্যা ধর্ষণের ঘটনায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে কটাক্ষ অভিষেকের
বিএসএফ-র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে শহিদ সাব ইনস্পেকটরের নাম ভুরু সিং এবং কনস্টেবল হলেন রাজ কুমার। জঙ্গিদের সঙ্গে বিএসএফের গুলি বিনিময় হয়। তখনই বিএসএফের দুজন জখম হন ও পরে তাঁদের মৃত্যু হয়। তবে রক্তের দাগ যেটুকু পাওয়া গিয়েছে তাতে বোঝা যাচ্ছে জঙ্গিরাও জখম হয়েছে। তবে আমাদের জওয়ানরা বীরত্বের সঙ্গে শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন।
আরও পড়ুন- তৃণমূলের পর এবার কংগ্রেস, সাইকেল চালিয়ে সংসদে গেলেন রাহুল
জঙ্গিদের খোঁজে বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া ওই এলাকায় তল্লাশি অভিযান শুরু করা হয়েছে। স্থানীয় পুলিশের ডেপুটি জেনারেল অরিন্দম নাথ জানিয়েছেন যে মৃত দু’জনেই সীমান্তে পেট্রলিং করছিলেন। মনে করা হচ্ছে যে জঙ্গিরা আগে থেকেই এলাকায় গা ঢাকা দিয়েছিল। আচমকাই তারা হামলা চালায়। এরপর তারা ভারত- বাংলাদেশ সীমান্ত পেরিয়ে চলে গিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। জওয়ানদের গতিবিধির উপরে অনেক আগে থেকেই জঙ্গিরা নজরদারি চালাচ্ছিল বলেও অনুমান করছে পুলিশ।
আরও পড়ুন- হিন্দু রীতি মেনে মেয়ের বিয়ে দিলেন মুসলিম অভিভাবক
ওই হামলার পরে বিএসএফ জওয়ানদের সার্ভিস রাইফেলগুলি পাওয়া যাচ্ছে না। জঙ্গিরা জওয়ানদের মেরে সেই অস্ত্র হাতিয়ে চম্পট দিয়েছে বলেই অনুমান করা হচ্ছে। ত্রিপুরার নিষিদ্ধ জঙ্গি গোষ্ঠী ন্যাশানাল লিবারেশন ফ্রন্ট অফ ত্রিপুরা এই ঘটনার পিছনে রয়েছে বলে মনে করছে পুলিশ। যদিও সরকারিভাবে এই বিষয়ে স্পষ্ট কিছুই জানানো হয়নি।
জঙ্গিহানার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় শোকপ্রকাশ করেছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। ট্যুইট করে তিনি লিখেছেন, “ধলাইতে বিএসএফের উপর এই কাপুরুষোচিত হামলার তীব্র নিন্দা করছি। তাঁদের এই আত্মত্যাগ ব্যর্থ হবে না। বীর শহিদদের পরিবারের পাশে আমাদের দেশ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে থাকবে।”