নয়াদিল্লি: দিল্লির (Delhi) অঞ্জলি সিংয়ের (Anjali Singh) মৃত্যুতে এল নয়া চাঞ্চল্যকর তথ্য। সিসিটিভি ফুটেজ থেকে জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনার সময় তিনি একা ছিলেন না, সঙ্গে ছিলেন এক বান্ধবী। কিন্তু তিনি দুর্ঘটনার পর এলাকা থেকে পালিয়ে যান। নববর্ষের রাতে অঞ্জলির স্কুটারে ধাক্কা মেরেছিল একটি মারুতি বালেনো গাড়ি। ওই গাড়ির অ্যাক্সেলে কোনওভাবে আটকে যায় তাঁর পা। এই অবস্থায় অঞ্জলিকে হ্যাঁচড়াতে হ্যাঁচড়াতে নিয়ে যায় ১৩ কিমি রাস্তা।
পুলিশ (Delhi Police) জানিয়েছে, গাড়ি যখন স্কুটারে ধাক্কা মারে তখন তাতে ছিলেন বান্ধবীও। পুলিশের এও দাবি, তাঁকে ইতিমধ্যেই খুঁজে বের করা হয়েছে এবং তদন্তের জন্য তাঁর বয়ান রেকর্ড করা হবে। দুর্ঘটনার রাতে ঠিক কী হয়েছিল তা ভালো করে বুঝতে রুট ম্যাপ তৈরি করছিলেন পুলিশ আধিকারিকরা। আর সেটা করতে গিয়েই বান্ধবীর উপস্থিতির কথা টের পান তাঁরা।
আরও পড়ুন: Zomato Cofounder Resigns: জোম্যাটো থেকে ইস্তফা দিলেন সহ প্রতিষ্ঠাতা গুঞ্জন পতিদার
প্রসঙ্গত, অঞ্জলি সিংয়ের মৃত্যুর ঘটনায় ফের রাজধানীতে মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে বিতর্কের ঝড় উঠেছে। বিশেষ করে ১৩ কিমি রাস্তা একটা মানুষকে এভাবে গাড়িতে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় বিস্ময়ে শিহরিত মানুষ।
এখনও পর্যন্ত হওয়া তদন্তে জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনা ঘটেছিল পশ্চিম দিল্লিরn (West Delhi) সুলতানপুরিতে (Sultanpuri)। গাড়ির মধ্যে থাকা পাঁচজন শিকার করেছে যে তাঁরা দুর্ঘটনার সময় মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। ভয় পেয়ে তাঁরা দ্রুত পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তাঁদের দাবি, অঞ্জলি যে গাড়ির চাকার সঙ্গে আটকে রয়েছেন তা তাঁরা খেয়াল করেননি। যিনি গাড়ি চালাচ্ছিলেন, সেই দীপক খান্না বলেন, তাঁর মনে হয়েছিল গাড়িতে কিছু একটা আটকে আছে, কিন্তু বাকিরা তাঁর কথা শুনতে চাননি।
১৩ কিমি যাওয়ার পর কাঞ্ঝনওয়ালার মোড়ে গাড়ি ইউ টার্ন নেওয়ার সময় মিঠুন নামে এক অভিযুক্ত গাড়ির নীচে একটা হাত দেখতে পান। গাড়ি দাঁড়িয়ে পড়লেই অঞ্জনের দেহ গাড়ি থেকে ছাড়া পায়। তাঁকে ফেলে এলাকা থেকে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত পাঁচজন।