জয়পুর: একই সঙ্গে পৃথিবীর আলো দেখা। একই সঙ্গে শেষকৃত্য! অনেক দূরে থাকা দুই যমজ ভাইয়ের মৃত্যু একই দিনে। অলৌকিক না কি কাকতালীয়! দুজনেই ছিলেন প্রায় ৯০০ কিলোমিটার দূরত্বে। কাকতালীয়ভাবে দুজনের মৃত্যু হল মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে। অথচ দুজনেই এখন তরুণ তুর্কি। বয়স ২৬। অকাল প্রয়াণ ঘটল দুই ভাইয়েরই। যে ঘটনায় শোরগোল পড়েছে। শোকস্তব্ধ রাজস্থানে বামেরে সুমের ও সোহন সি নামে দুই ভাইয়ের গ্রামে।
ওই দুই ভাইয়ের (Twin Brother) মৃত্যুতে রহস্য ঘনীভূত হয়েছে। এক ভাই সুমের সিং (Sumer Singh থাকতেন গুজরাতের সুরাতে (Surat)। সেখানেই বস্ত্রশিল্পে (Textile) কাজ করতেন। আরেক ভাই সোহান সিং (Sohan Singh) জয়পুরে (Jaipur) শিক্ষকতার চাকরির (Job) পরীক্ষার জন্য তৈরি হচ্ছিলেন। প্রশিক্ষণ নিচ্ছিলেন তিনি। সুরাতে বুধবার রাতে সুমের সিংয়ের বাড়িতে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয়। আরেক ভাই সোহানের পর দিন ভোরে জলট্যাঙ্কে (Jol Tank) দেহ পাওয়া যায়। দুজনের দূরত্ব ছিল ৯০০ কিমি। দুই ভাইয়েরই বৃহস্পতিবার রাজস্থানের (Rajasthan) বামেরে সিন্ধারা থানা (Sindhara PS) এলাকায় শেষ কৃত্য সম্পন্ন হয়েছে। এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। দুজনের অকাল প্রয়াণের এই সমাপতনে অনেকেই অবাক হয়ে গিয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দুজনের বয়স ২৬ বছর। তাঁরা একসঙ্গেই বেড়ে উঠেছে। সুমের সুরাতেই থাকতেন। সোহন জয়পুরে (Jaipur) থাকতেন। সুমের বাড়িতে (House) যখন পড়ে যান তখন তিনি ভাইয়ের সঙ্গে ফোন কলে (On Phone Call) ছিলেন। সোহানের মৃত্যু আত্মঘাতী হওয়ার ঘটনা কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। দুই সন্তানকে হারিয়ে শোকস্তব্ধ তাঁদের পরিবার।
আরও পড়ুন: Odisha: ওড়িশায় উদ্ধার মহিলা ক্রিকেটারের ঝুলন্ত দেহ, কী কারণে খুন, দানা বাঁধছে রহস্য
পুলিশ সূত্রের বক্তব্য, সুমের যখন পড়ে যান সেসময় তিনি ফোন কলে ছিলেন। সোহান ভাইয়ের ওই মৃত্যুর খবর পেয়ে বাড়ি আসেন। জলট্যাঙ্কে তাঁর দেহ পাওয়া যায়। সারনো কা তালা গ্রামে একসঙ্গে দুজনের শেষ কৃত্য সম্পন্ন হয়েছে। তাঁদের জন্মাতে দেখা অনেকেই (Ending) দুজনের শেষকৃত্যে হাজির ছিলেন। চোখের জলে হাসিখুশি স্বভাবের ওই দুই ভাইকে বিদায় জানিয়েছেন গ্রামবাসী।