নয়াদিল্লি: প্রতিনিয়ত দেশে (India) বাড়ছে করোনা (Coronavirus) সংক্রমণ। পাশাপাশি বাড়তে শুরু করেছে মৃত্যুর হারও। যা রীতিমতো কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে প্রশাসন থেকে শুরু করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে কিছুটা কমল আক্রান্তের সংখ্যা। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৭ হাজার ৬৩৩ জন। দেশে এই মুহূর্তে মোট সক্রিয় রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৬১ হাজার ২৩৩। আর গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের।
সোমবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক কর্তৃক প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, গতকাল দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৯ হাজার ১১১। তা আজ দেড় হাজার কমে হল ৭ হাজার ৬৩৩। ফলে কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস নিলেন দেশের নাগরিকরা। বর্তমানে দেশে সুস্থতার হর ৯৮.৬৮ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় ২ লক্ষ ১১ হাজার ২৯ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে করোনা পজিটিভ এসেছেন ৭ হাজার ৬৩৩ জন।
আরও পড়ুন:Maharashtra | Ajit Pawar | বিজেপি’র সঙ্গে জোট গড়ে মহারাষ্ট্রের আগামী মুখ্যমন্ত্রী কি অজিত পাওয়ার?
ওমিক্রনের যে নয়া স্ট্রেনের দাপটে এই ভাইরাস ছড়াচ্ছে তাতে সংক্রমণের হার বেশি হলেও এর মারণ ক্ষমতা তেমন নয়। কোভিডের হাত থেকে বাঁচার জন্য টিকাকরণে জোর দিন। একইসঙ্গে মাস্ক পরা, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার পরামর্শও দিচ্ছেন চিকিৎসক থেকে শুরু করে বিশেশজ্ঞরা। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডবীয় অবশ্য বলছেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে। আতঙ্কিত হওয়ারও কোন কারণ নেই। দেশ জুড়ে আগামী আট থেকে দশ দিনে ধাপে ধাপে সংক্রমণ বাড়লেও তার পর থেকে তা আবার কমতে শুরু করবে। স্বাস্থ্যকর্তাদেরও দাবি, আগামী মাসের গোড়া থেকেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে উঠতে শুরু করবে।
এদিকে গতকাল করোনা আক্রান্ত হয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। তিনি টুইট করে জানান, “আমার কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। আমার সঙ্গে যাঁরা গত কয়েকদিনে সংস্পর্শে এসেছেন তাঁদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছি। পাশাপাশি কাছের স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে একবার কোভিড টেস্ট করিয়ে নেওয়ার আবেদন জানাচ্ছি।”