নয়াদিল্লি: ‘দ্য কেরল স্টোরি’ (The Kerala Story) নিয়ে দেশ জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। সিনেমাটির ট্রেলার মুক্তির পর থেকেই কেরলে ওই ছবির কাহিনি নিয়ে শুরু হয় রাজনৈতিক জল্পনা। সিনেমাটির ট্রেলারটি ইতিমধ্যে ১৬ মিলিয়ন ভিউ হয়েছে। আর এখন জল্পনা রাজ্য ছাড়িয়ে জাতীয় স্তরে পৌঁছে গিয়েছে। বুধবার জমিয়ত উলামায়ে হিন্দ (Jamiat Ulama-I-Hind) সংগঠনটি সিনেমাটির মুক্তি বন্ধ করতে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হয়েছে। সংগঠনটির দাবি, এই সিনেমাটি মুক্তি পেলে ভারতীয় সমাজে বিভিন্ন শ্রেণির মধ্যে ঘৃণা ও বিদ্বেষে তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সুদীপ্ত সেন পরিচালিত ‘কেরল স্টোরি’ মুক্তিতে স্থগিতাদেশ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে দ্বারস্থ হয়েছিলেন প্রবীণ আইনজীবী কপিল সিবাল এবং নিজাম পাশা। তাঁর দাবি, এই ছবির বিষয়বস্তুতে কদর্য ঘৃণা এবং সিনেমায় ধর্ম বিদ্বেষের কথা রয়েছে, এটি সমাজে বিদ্বেষ ছড়ানোর একটি প্রোপাগান্ডা। তাই সিনেমাটি মুক্তি না পাওয়াই যুক্তিযুক্ত। তবে মঙ্গলবার বিচারপতি কে এম জোসেফ এবং বি ভি নাগরত্নের বেঞ্চ সেই আবেদনের শুনানি নাকচ করে দেয়।
আরও পড়ুন: Supreme Court | বিলকিস বানো কাণ্ডে দোষীরা এই বেঞ্চ এড়ানোর চেষ্টা করছে, তোপ সুপ্রিম কোর্টের
শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, সিনেমাটি সেন্সর বোর্ড ছাড়পত্র দিয়েছে। ফলে ছবির ছাড়পত্র মঞ্জুর করাকে নিয়ে চ্যালেঞ্জ জানানোর জায়গা এটা নয়। ছবির মুক্তি আটকানো এবং এতে ঘৃণাভাষণ রয়েছে, এ দুটোকে এক করে দেখা যায় না। কারণ ছবিটি সার্টিফিকেট পেয়েছে একটি অনুমোদিত কর্তৃপক্ষের তরফে। ফলে আপনারা সেটা নিয়ে অন্য কোথাও যান, কিন্তু সুপ্রিম কোর্টে নয়। এর জবাবে পাশা বলেন, এখানে কদর্য ঘৃণার কথা রয়েছে। আগামী শুক্রবার ছবিটি দেশজুড়ে মুক্তি পেতে চলেছে। আমাদের হাতে আর সময় নেই। তাই আমরা সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি। তার উত্তরে বেঞ্চ বলে, একটা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে ছবিটি সেন্সরের ছাড়পত্র পেয়েছে। আপনারা কেন প্রথমে সংশ্লিষ্ট হাইকোর্টে যাচ্ছেন না? তখন সিবাল বলেন, মধ্যাহ্নভোজের সময় আপনারা ইউটিউবে প্রকাশিত ট্রেলারের ভাষাগুলো শুনুন। তারপর সিদ্ধান্ত নিন। এদিনের এই সয়াল জবাবের পর সুপ্রিম কোর্ট আবেদন খারিজ করে। এরপর ‘জমিয়ত উলামায়ে হিন্দ’ সংগঠনটি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে ছবিটি মুক্তির স্থগিতাদেশ চেয়ে।