নয়াদিল্লি: রাস্তায় ফেলে পেটানো হচ্ছে পাঁচ জন ব্যক্তিকে। সেই সঙ্গে তাদের বলপূর্বক ‘বন্দেমাতরম’ বলতে বাধ্য করা হচ্ছে। জোর করা হচ্ছে ‘জাতীয় সঙ্গীত’ গাওয়ার জন্য। ওই ঘটনায় অভিযোগ উঠল তিন পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে। যারা সকলেই দিল্লি পুলিশের কর্মী।
২০১৯ সালের শেষের দিকে সংসদের দুই কক্ষে পাস হয়ে যায় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল। ওই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হয় সমগ্র দেশ জুড়ে। সবথেকে বড় আন্দোলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল দিল্লির শাহিনবাগে। সেই আন্দোলনের মাঝেই ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়ায় দিল্লিতে।
সেই হিংসার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যেখানে দেখা যাচ্ছে যে পাঁচ জন মুসলিম ব্যক্তিকে পেটাচ্ছে পুলিশ। সশস্ত্র পুলিশ বাহিনীর তিন কর্মী ওই পাঁচ জনকে বলপূর্বক ‘জাতীয় সঙ্গীত’ গাইতে এবং ‘বন্দেমাতরম’ বলার জন্য চাপ দিচ্ছে। আক্রান্তদের মধ্যে একজন ছিলেন ২৪ বছর বয়সী ফাইজান। কারদাম পুর এলাকার বাসিন্দা ফাইজানকে গুরুতর জখম অবস্থায় লোক নায়ক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। পরে তাঁর মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন- মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছে বিজেপি: কুণাল
ওই ঘটনায় অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছিল। যদিও সেখানে কোনও পুলিশকর্মীর জড়িত থাকার বিষয় উল্লেখ ছিল না। পরে ওই ভিডিও ভাইরাল হতেই কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে দিল্লি পুলিশের তিন কর্মীকে। জাতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুসারে, অভিযুক্ত পুলিশকর্মীদের ‘লাই ডিটেক্টর’ টেস্ট করানো হবে। ঘটনার তদন্ত শুরু হচ্ছে। ঘটনার সময়ে অভিযুক্ত কর্মীদের অবস্থান এবং তাদের ডিউটি রোস্টার পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।