ওয়েব ডেস্ক: মাদ্রাসার (Madrasa) টয়লেটে বন্দি ছিল ৪০ জন নাবালিকা (Minor Girls)। তাঁদের মধ্যে কারও বয়স ৯, কারও ১০ কেউ বা ১৪। গোপন সূত্রে সেই খবর পায় পুলিশ। তড়িঘড়ি চালানো হয় বিশেষ অভিযান। প্রথমে গোটা মাদ্রাসা তন্ন তন্ন করে খুঁজেও নাবালিকাদের চিহ্ন পায়নি পুলিশ। শেষমেশ টয়লেটের দরজা খুলতেই এক এক করে বেরিয়ে আসে ৪০ জন। সবার মুখে তখনও লেগে আতঙ্কের ছাপ। এই ঘটনা সামনে আসতেই ফের একবার আলোচনায় যোগীরাজ্যের নারী নিরাপত্তা (Women Safety)।
উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) বাহরাইচের ঘটনা। সেখানেই এক মাদ্রাসা থেকে টয়লেটবন্দি ৪০ জন নাবালিকাকে উদ্ধার ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। জানা গিয়েছে, উদ্ধার হওয়া মেয়েদের বয়স ৯ থেকে ১৪ বছরের মধ্যে। পুলিশ সূত্রে খবর, গোপন সূত্রে তথ্য পাওয়ার পর এক মহিলা পুলিশকর্মী টয়লেটের দরজা ভাঙেন। এরপরই একে একে বেরিয়ে আসে আতঙ্কে নাবালিকারা। প্রত্যেকের চোখে মুখে ভয়ের ছাপ স্পষ্ট ছিল।
আরও পড়ুন: মায়ের সামনে একরত্তির গলা কেটে খুন! গণধোলাইয়ে মৃত্যু অভিযুক্তর
প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, যে মাদ্রাসা থেকে নাবালিকাদের উদ্ধার করা হয়েছে, সেটি প্রায় তিন বছর ধরে নাম নথিভুক্ত না করেই চালানো হচ্ছিল। ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে এলাকায় চর্চা শুরু হয়েছে। এদিকে, মাদ্রাসার এক শিক্ষিকা তাকসিম ফাতিমা দাবি করেছেন, কোনও বহিরাগত আতঙ্ক ছড়াতেই নাবালিকারা নিজেরাই টয়লেটের ভিতর গিয়ে দরজা আটকে দেয়। তবে পুলিশের দাবি, বিষয়টি গভীরভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এদিকে ইতিমধ্যেই মাদ্রাসাটি সিল করে দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে এই মাদ্রাসার নথি ও রেকর্ড খতিয়ে দেখছে প্রশাসন। পাশাপাশি মাদ্রাসাটি অবিলম্বে বন্ধের নির্দেশও জারি হয়েছে। ঘটনার পর এলাকায় তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। স্থানীয়দের প্রশ্ন, এতদিন ধরে অবৈধভাবে মাদ্রাসা চালানোর খবর প্রশাসনের অজানা রইল কীভাবে? আর সেখা এত নাবালিকাকে আটকে রাখা হলই বা কেন? এসবের উত্তর খুঁজছে যোগীরাজ্যের প্রশাসন।
দেখুন আরও খবর: