ধানবাদ: ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) ধানবাদে (Dhanbad News) এলাকার কয়লা খনিতে দুর্ঘটনায় পাঁচ জনের মৃত্যু হল৷ খনির (Coao Mine) খোলা মুখ থেকে কয়লা চুরি করতে গিয়েই দুর্ঘটনার কবলে পড়েন বেশ কয়েকজন৷ পুলিস জানিয়েছে, দুর্ঘটনাস্থল থেকে এখনও পর্যন্ত ৫ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে৷ পাথর চাপা পড়ে মৃত্যু হয় তাঁদের৷ স্থানীয়দের দাবি, খনিতে এখনও প্রায় ১৫ জন আটকে রয়েছেন৷ পুলিস জানিয়েছে, উদ্ধারের পাশাপাশি ঘটনার তদন্ত করে দেখা হবে৷
ধানবাদে কয়লার অবৈধ ব্যবসা চলছে৷ কয়লা কাটতে হাজার হাজার শ্রমিক অবৈধ খনিতে নামছে। এ সময় প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও দুর্ঘটনা ঘটছে৷ প্রাণ হারাচ্ছে শ্রমিকরা। ধানবাদের নিরসা থানা এলাকায় বিসিসিএল (BCCL) এবং ইসিএল (ECL)-র বন্ধ কয়লা খনিতে অবৈধ খননের কারণে প্রায় ২০ জন শ্রমিক দুর্ঘটনার কবলে পড়েন। কয়লার নিচে কয়েক ডজন লোক চাপা পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। দুর্ঘটনার পর ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
ধানবাদের মুগমা এবং পাঞ্চেত এলাকায় অবৈধ কয়লা খনির সময় একটি ট্রিকলের কারণে ৯ জন নিহত হয়েছেন। বিসিসিএল সিভি এলাকার বন্ধ আউটসোর্সিং সি পেঞ্চে কয়লা চোরাচালানের সময় ধাক্কা লেগে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটেছে কাপাসরা আউটসোর্সিংয়ে। নিরসা থানা এলাকার অন্তর্গত কাপাসরা আউটসোর্সিং প্রকল্পে মঙ্গলবার কয়লা খনন করার সময় ট্রিকলের কারণে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সঙ্গে এ ঘটনা দেখে আউটসোর্সিংয়ে অবৈধ কয়লা বাছাইকারীদের মধ্যে তোলপাড় সৃষ্টি হয়৷ ইসিএল, আউটসোর্সিং ব্যবস্থাপণা ও স্থানীয় প্রশাসন এ ধরনের কোনও ঘটনার কথা অস্বীকার করেছে। যথারীতি শত শত মানুষ কয়লা খননের জন্য খনিতে নামে। এ সময় রাবণ মই নামক একটি জায়গার কাছে নির্মিত মুখের ভেতরে লোকজন কয়লা কাটছিল। সে সময় দুর্ঘটনায় ২০ জন গুরুতর জখম হয়েছেন৷
আরও পড়ুন: Budget 2022: রাজ্য সরকারি কর্মীদের পেনশন স্কিমে করছাড় ১০ থেকে বেড়ে ১৪ শতাংশ
এলাকার প্রাক্তন বিধায়ক অরূপ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘নিরসায় অবৈধ খনির কারণে এখনও পর্যন্ত প্রায় ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখানে পুলিস ও ম্যানেজারের অবহেলায় মানুষ মারা যাচ্ছে।’’