লখনউ: বাড়িতে রয়েছে স্ত্রী-সন্তান। বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকে তাঁরা। কর্মসূত্রে বাইরে গিয়ে একাধিক সম্পর্কে জড়িয়ে একাধিক বিয়ে করেছিল এক যুবক। পেশায় সেনা জওয়ান ওই ব্যক্তির তিন স্ত্রী একত্রে থানায় গিয়ে অভিযোগ জানাতেই গ্রেফতার করা হল ওই ব্যক্তিকে। আপাতত তার ঠিকানা এখন শ্রীঘর।
আলোচিত ব্যক্তির নাম মণিশ কুমার। ভারতীয় সেনাবাহিনীর হাবিলদার পদে কর্মরত সে। হরিয়ানার কুরুক্ষেত্র এলাকার বাসিন্দা ওই ব্যক্তিকে মেরঠ ক্যান্টনমেন্টের পুলিশ গ্রেফতার করেছে। প্রথম বিয়ে লুকিয়ে আরও একাহিক বিয়ে করার অপরাধে গ্রেফতার করা হয়েছে ওই সেনা জওয়ানকে। তার তিন পত্নী একই সঙ্গে থানায় যাওয়ায় বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মণিশের দ্বিতীয় স্ত্রী শীলা সিং-এর অভিযোগের ভিত্তিতেই গ্রেফতার করা হয়েছে ওই ব্যক্তিকে। আরও জানা গিয়ছে মণিশের প্রথম স্ত্রী মণিকা কুরুক্ষেত্রে তার বাড়িতেই থাকে। সেখানে মণিশের বাবা-মা ছাড়াও রয়েছে তার সন্তানেরা। কর্মসূত্রে হায়দরাবাদে যেতে হয় মণিশকে। সেখানেই শীলার সঙ্গে আলাপ হয় তার।
আরও পড়ুন- পড়ুয়াদের বাধায় ‘অসুস্থ’ বিশ্বভারতীর উপাচার্যকে না দেখেই ফিরে গেলেন চিকিৎসকেরা
২০১৪ সালে সেপ্টেম্বর মাসে শীলাকে বিয়ে করে মণিশ। ২০১৬ সালে গর্ভবতী হয়ে পড়েন মণিশ। সুকৌশলে সেই সন্তানকে নষ্ট করে দেয় সেনা জওয়ান মণিশ। ২০১৮ সালে হায়দরবাদ থেকে টার্ন্সফার হয়ে হয়ে অন্যত্র চলে যায় সে। তখন থেকে শীলার কাছে আর কোনও খোঁজ ছিল না স্বামীর। ২০১৯ সালে মেরঠে মণিশের খোঁজ পায় শীলা। তারপর থেকে সেখানেই একত্রে থাকতে শুরু করে তারা। একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেয় শীলা।
আরও পড়ুন- প্রতারণা চক্রের পর্দা ফাঁস, কলকাতা পুলিশের জালে জামতাড়া গ্যাংয়ের ১৬ সদস্য
তারপরেও মণিশের আচরণে সন্দেহ হত শুরু হয় শীলার। তিনি জানতে পারেন যে চাঁদনী আনসারি নামক আরও এক মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে মণিশের। গত মাসের শেষের দিকে শ্রদ্ধাপুরি এলাকায় চাঁদনী আনসারির বাড়িতে গিয়ে মণিশকে হাতেনাতে ধরে ফেলে শীলা। প্রথম স্ত্রী মণিকাকে সঙ্গে নিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন শীলা এবং চাঁদনী।