স্পোর্টস ডেস্ক: জাতীয় ক্রীড়া নীতি ২০২৫-এ (National Sports Policy 2025) সিলমোহর দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা (Cabinet)। দেশের ক্রীড়াশক্তিকে সামগ্রিকভাবে সুসজ্জিত করে তোলার লক্ষ্যেই এই নতুন ক্রীড়া নীতি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Narendra Modi) নেতৃত্বে মন্ত্রিসভার এই সিদ্ধান্ত দেশের খেলাধুলোয় এক নতুন দিগন্ত এনে দেবে বলে মনে করা হচ্ছে।
নতুন নীতি ২০২১ সালের ক্রীড়া নীতিকে সরিয়ে ভারতকে ক্রীড়া ক্ষেত্রে বিশ্বের অন্যতম শক্তি করে তোলার লক্ষ্যে কাজ করবে। ২০৩৬ অলিম্পিক্স (Olympics 2036) সহ বিশ্বজনীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় তার ছাপ পড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, নীতী আয়োগ, প্রতিটি রাজ্য সরকার, জাতীয় ক্রীড়া ফেডারেশন, অ্যাথলিট এবং আরও সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিদের নিয়ে এই বৈঠক করে এই সিদ্ধান্তে সিলমোহর দেওয়া হয়েছে।
১) বিশ্ব মঞ্চে নৈপুণ্য প্রদর্শন: এর জন্য প্রতিভার লালন-পালন, পরিকাঠামো উন্নয়ন, প্রতিযোগিতামূলক লিগের উন্নয়ন, অনুশীলনের জন্য বিশ্বমানের সিস্টেম গড়ে তোলা, এই সবই হবে।
২) অর্থনৈতিক উন্নতিতে ক্রীড়া: এর জন্য ক্রীড়া পর্যটনের দিকে নজর দেওয়া হবে যাতে বড় বড় আন্তর্জাতিক ইভেন্ট ভারতে করা যায়।
৩) সামাজিক উন্নতিতে ক্রীড়া: মহিলা, আর্থিকভাবে দুর্বল, আদিবাসী সম্প্রদায় এবং বিশেষভাবে সক্ষমদের মধ্যে খেলাধুলোর প্রসার ঘটানো হবে। খেলাও ভালো কেরিয়ার হতে পারে সেই ধারণা ছড়ানো হবে।
৪) জনগণের শারীরিক সচেতনতা বাড়াতে ক্রীড়া: দেশজুড়ে বিভিন্ন ইভেন্ট করা হবে। স্কুল-কলেজ এবং অফিসেও ফিটনেস সচেতনতার কর্মসূচি নেওয়া হবে।
৫) শিক্ষার সঙ্গে জুড়বে ক্রীড়া: ২০২০ সালের জাতীয় শিক্ষা নীতির সঙ্গে জুড়বে নতুন ক্রীড়া নীতি। স্কুলে পাঠক্রমে ঢুকবে খেলাধুলো। ক্রীড়ার প্রতি সচেতনতা বাড়াতে শারীরশিক্ষার শিক্ষকদের বিশেষ ট্রেনিং দেওয়া হবে।