নয়াদিল্লি: পূর্ব লাদাখে প্যাংগং হ্রদের পাশে বেআইনিভাবে দখল করা জায়গায় সেতু বানাচ্ছে চীন। সংসদের বাজেট অধিবেশনে এক বিবৃতিতে একথা জানাল কেন্দ্র। মোদির সরকারের বক্তব্য, ১৯৬২ সাল থেকে ওই জায়গা অবৈধভাবে দখল করে রেখেছে চীন। ভারত সরকার কখনই এই অবৈধ দখলদারিকে মেনে নেয়নি। অন্যান্য দেশ ভারতের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে সম্মান করবে বলে আশাপ্রকাশ করেছে কেন্দ্র।
প্যাংগং হ্রদের উত্তর পাড়ে চীনা সেনাঘাঁটির দক্ষিণেই তৈরি হচ্ছে ৪০০ মিটার দীর্ঘ ও ৮ মিটার চওড়া এই সেতু। ২০২০ সালে ভারতীয় ও চীনা সেনার মধ্যে ঝামেলা চলাকালীন এই অঞ্চলে চীনের জওয়ানদের থাকার ব্যবস্থাও দেখা গিয়েছিল। মাস কয়েক আগে উপগ্রহ চিত্রে ধরা পড়ে, সেতুর নির্মাণ কাজ অনেকটাই সেরে ফেলেছে বেজিং। বিদেশ রাষ্ট্রমন্ত্রী ভি মুরলিধরন জানিয়েছেন, এই বেআইনি নির্মাণ কোনওভাবেই মেনে নেওয়া হবে না।
কেন্দ্রের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘প্যাংগং হ্রদের উপর চীনা সেতু নির্মাণের বিষয়টি নজরে রয়েছে সরকারের। ১৯৬২ সাল থেকে বেআইনিভাবে দখল করে রাখা জায়গায় এই সেতু তৈরি করছে চীন। ভারত সরকার কখনওই এই বেআইনি কর্মকাণ্ডে সায় দেয়নি। জম্মু-কাশ্মীর এবুং লাদাখ ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। আমরা আশা করি, অন্যান্য দেশ ভারতের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে সম্মান করবে।’
আরও পড়ুন: Modi-Rahul: আত্মনির্ভরতার কথা বলা মোদি চীনের হাত শক্ত করেছেন, অভিযোগ রাহুলের
২০০০ সাল থেকে দিল্লির সঙ্গে ঠান্ডা লড়াই শুরু হয় বেজিংয়ের৷ সেই ঠান্ডা লড়াইয়ের কারণে পূর্ব লাদাখে দুই দেশ বিশাল পরিমাণে বাহিনী পাঠিয়েছে। গালওয়ানে চিনা সেনার হামলায় শহিদ হন ২০ জন জওয়ান। পাল্টা ভারতীয় সেনার হামলায় চীনের ৪০ জন গুরুতর জখম হন। পরে দেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল এবং চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই আলোচনায় বসেন৷ সংঘর্ষস্থল থেকে অন্তত ২ কিলোমিটার দুই দেশ সেনা সরিয়ে নিয়ে যায়৷
চীনা সীমান্তের লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোলের খুব কাছেই সেতু তৈরি করছে চীন। সেতুটি নির্মাণ হলে লাদাখ সীমান্তের নিকটবর্তী চীনের মূল সেনা ঘাঁটি রুটোগের সঙ্গে দ্রুত সংযোগ তৈরি করতে পারবে লাল ফৌজ। বর্তমানে ২০০ কিলোমিটার ঘুরে সেখানে পৌঁছতে হয়। ১৬ জানুয়ারি তোলা উপগ্রহ চিত্রে দেখা গিয়েছে, নির্মাণকর্মীরা বড়সড় ক্রেনের সাহায্যে সেতুর থামের উপরে কংক্রিটের স্ল্যাব বসানোর কাজ করছেন।
আরও পড়ুন: AITC Parliament: হু-এর মানচিত্রে জম্মু-কাশ্মীর পাকিস্তান এবং চীনের অংশ, সংসদে সরব শান্তনু