নয়াদিল্লি: রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক( আরএসএস) বিরুদ্ধে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট(ইডি) ও ইনকাম ট্যাক্স(আইটি) অভিযোগ দায়ের৷ অভিযোগ দায়ের করলেন নাগপুরের এক সমাজকর্মী৷ তিনি আরএসেএসের সাংগাঠনিক ফান্ডের তদন্তের দাবি করেছেন৷ সর্বভারতীয় ডিজিটাল সংবাদ মাধ্যম ‘দ্য ওয়ার’ সূত্রে এমনটাই খবর নাগপুরের ওই সমাজকর্মীর নাম মনীশ জাবালপুরা৷
২০২০ সালের গত ২৩ মে দুপুর ১২.০৭ মিনিটে আরএসএসের টুইটার হ্যান্ডেল থেকে একটি টুইট করা হয়৷ যেখানে করোনকালে মানুষের পাশে দাঁড়াতে সংগঠন কতটা খরচ করেছে তার খতিয়ান তুলে ধরা হয়৷ সেই খরচের টাকা কোথায় থেকে এল মূলত সে বিষয়ের তদন্তের দাবি করেছেন জাবালপুরা৷
RSS COVID-19 Seva till 20 May 2020
Places Served: 85,701
Dedicated Volunteers: 4,79,949
Ration kit donated to Families : 1,10,55,450
Meal packets distribution : 7,11,46,500
Migrant workers helped in different ways : 27,98,091
Blood Donation : 39,851
Mask Distribution : 62,81,117 pic.twitter.com/fK9CDhSCYX— RSS (@RSSorg) May 23, 2020
করোনা সংক্রমণের প্রথম দিন থেকে ২০২০ সালের গত ২৩ মে পর্যন্ত কোথায়-কত টাকা খরচ হয়েছে তা আরএসএসের ওই টুইটে বলা হয়৷ দেখা যাচ্ছে, ১.১ কোটি পরিবারকে রেশন কিট বিলি করা হয়েছে৷ ৭.১ কোটি খাবারের প্যাকেট বিলি করা হয়েছে৷ ৬৩ লাখ মাস্ক বিলি করা হয়েছে৷ এই সব করতে বিশাল অঙ্কের টাকার প্রয়োজন৷ সেই টাকা কোথা এল তা জানতে চেয়েছেন জাবালপুরা৷
আরও পড়ুন- ভবানীপুরে ভুয়ো ভোটারের অভিযোগ বিজেপি প্রার্থীর, উত্তেজনা খালসা স্কুলের বুথে
ওই সমাজকর্মী নাগপুর চ্যারিটি কমিশনার এবং মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয়ে অভিযোগ করেন। যদিও কমিশনার অভিযোগ খারিজ করে বলেন, আরএসএস সোসাইটিস রেজিস্ট্রেশন অ্যাক্ট, ১৮৬০ বা মহারাষ্ট্র পাবলিক ট্রাস্টস অ্যাক্টের অধীনে রেজিষ্ট্রি করা সংস্থা নয়৷ তাই বিষয়টি কমিশনরের এক্তিয়ারের বাইরে৷ এরপরেই, ইডি ও আইটি বিভাগে অভিযোগ করে জাবালপুরা বলেছেন, যে সংস্থার কোনও রেজিস্ট্রেশন, ব্যঙ্ক অ্যাকাউন্ট নেই,তারা কীভাবে এত অল্প সময়ে এত পরিমাণ ত্রাণ বিলি করতে পারে! তাই তিনি জানতে চেয়েছেন, কোথা থেকে টাকা এল? আদৌ আরএসএসের দাবি সত্যতা আছে? নাকি গোটাটাই লোক দেখানো? এ বিষয়ে আরএসএস সদস্য অরবিন্দ কুকদে বলেন, সংগঠনতে তলব করা হলে তার উত্তর দেওয়া হবে৷