নয়াদিল্লি: জাতীয় কংগ্রেস প্রতিষ্ঠার ১৩৮ বছর পূর্তি উপলক্ষে ক্রাউড ফান্ডিংয়ে নামছে কংগ্রেস। আগামী সোমবার এই তহবিল সংগ্রহ অভিযানের সূচনা করবেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে। এই অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে, ডোনেট ফর দেশ।
কংগ্রেসের কোষাধ্যক্ষ অজয় মাকেন জানান, দেশের মানুষকে ১৩৮ টাকা, ১৩৮০ টাকা কিংবা ১৩, ৮০০ টাকা দলীয় তহবিলে জমা দেওয়ার জন্য আবেদন জানানো হচ্ছে। এই অর্থ ডেবিট কার্ড, নেটব্যাঙ্কিং, ইউপিআই, আরটিজিএস, এনইএফটির মাধ্যমে কিংবা কিউআর কোড স্ক্যান করে দেওয়া যাবে। অজয় জানান, যাঁরা তহবিলে অর্থ দেবেন, তাঁদের ভারতীয় নাগরিক হতে হবে এবং ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে বয়স হতে হবে। প্রসঙ্গত, ১৮৮৫ সালের ২৮ ডিসেম্বর জাতীয় কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। সেই দিনটিকে মনে রেখেই কংগ্রেস এই তহবিল সংগ্রহ অভিযানের ডাক দিয়েছে। অজয় জানান, আরও উন্নত ভারত তৈরির জন্য এই অভিযান। কংগ্রস নেতৃত্ব মনে করছে, এই অভিযানের মাধ্যমে ভারত জোড়ো যাত্রার পর ফের জনসংযোগ বাড়বে দলের। তিন রাজ্যের বিধানসভা ভোটে পরাজয়ের পর কংগ্রেসের কর্মী, সমর্থকরা একটু মুষড়ে পড়েছেন। লোকসভা ভোটের আগে তাঁদের চাঙ্গা করা দরকার। পাশাপাশি টানা দশ বছর কেন্দ্রে ক্ষমতায় না থাকার কারণে কংগ্রেসের কোষাগারেও বেশ টান পড়েছে। এই অভিযানে দলীয় তহবিলেও টাকা আসবে।
আরও পড়ুন: সংসদ হামলার ঘটনায় দিল্লি পুলিশের সঙ্গে সক্রিয় কলকাতা পুলিশের এসটিএফও
এদিকে আগামী ২৮ ডিসেম্বর নাগপুরে জনসভা করছে কংগ্রেস। ওই সভায় সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, মল্লিকার্জুন খাড়্গে-সহ কংগ্রেসের তাবড় শীর্ষ নেতারা উপস্থিত থাকবেন। কংগ্রেস পরিচালিত রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রী, পরিষদীয় নেতা, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিরাও থাকবেন। কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) কে সি বেণুগোপালের দাবি, ওই সভায় অন্তত ১০ লক্ষ লোকের জমায়েত হবে।
বস্তুত, নাগপুরের ওই সভার মাধ্যমেই কংগ্রেস লোকসভা ভোটের প্রচার শুরু করে দিতে চাইছে। কেন কংগ্রেস নাগপুরকেই বেছে নিল ? এই নাগপুর শহরেই রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের সদর দফতর। ১৯২০ সালে কংগ্রেসের নাগপুর অধিবেশনেই গান্ধীজির অহিংস অসহযোগ আন্দোলনের প্রস্তাব গৃহীত হয়। বৃহস্পতিবার বেণুগোপাল নাগপুরে মহারাষ্ট্রের কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেন। সেখানেই ২৮ ডিসেম্বর সভার চূড়ান্ত রূপরেখা তৈরি হয়।