লখনউ: মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে চরম উদাসীনতার অভিযোগ তুলে, ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কিত ৬৬ পড়ুয়া চিঠি লিখলেন রাষ্ট্রপতি (India President) রামনাথ কোবিন্দকে (Ram Nath Kovind)। চিঠিতে রাষ্ট্রপতির কাছে ‘স্বেচ্ছামৃত্যু’র (euthanasia) অনুমতি চেয়েছেন যোগীরাজ্যের ওই ডাক্তারি পড়ুয়ারা। চিঠির ছত্রে ছত্রে রয়েছে তীব্র হতাশা, অসহায়তা।
উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুর গ্লোক্যাল মেডিক্যাল কলেজ (Glocal Medical College)-এর এই মেডিক্যাল পড়ুয়াদের অভিযোগ, তাঁদের ভবিষ্যৎ নিয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষ সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখেছে। তাই বাধ্য হয়েই তাঁরা ‘স্বেচ্ছামৃত্যু’ চান।
২০১৬ সালে NEET ক্লিয়ার করে তাঁরা ওই মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন। ক্লাস শুরুর তিন মাসের মধ্যে মেডিক্যাল কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া (Medical Council of India) কলেজ কর্তৃপক্ষকে ক্লাস বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়। মেডিক্যাল কলেজের স্বীকৃতিও বাতিল করা হয়।
পড়ুয়াদের অভিযোগ, স্বীকৃতি বাতিল হওয়া সত্ত্বেও কলেজ কর্তৃপক্ষ MCI-এর নির্দেশ উপেক্ষা করে তাঁদের ক্লাস করানো হয়েছে। এমত অবস্থায় এই ডাক্তারি পড়ুয়ারা সুরাহার আশায় এলাহাবাদ হাইকোর্ট পর্যন্ত গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানেও আশারা আলো না দেখে, মাঝখান থেকে এতগুলো বছর নষ্ট হওয়ায়, তাঁরা এখন স্বেচ্ছামৃত্যু চাইছেন।
আরও পড়ুন: India Covid Update: দেশে কমল দৈনিক করোনা সংক্রমণ, ভয় ধরাচ্ছে মৃত্যু
পড়ুয়াদের অভিযোগ স্বীকার করে গ্লোক্যাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য আকীল আহমেদ জানান, এমসিআই মেডিক্যাল কলেজের এনওসি বাতিল করে দিয়েছে। এমআইসি-র সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গিয়েও লাভ হয়নি। শীর্ষ আদালতেও কর্তৃপক্ষের কোনও আবেদন গ্রাহ্য হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পড়ুয়াদের পাশে আছে বলে দাবি করা হয়।
এমসিআই সূত্রে খবর, মেডিক্যাল পড়ানোর ন্যূনতম পরিকাঠামো না-থাকার কারণেই এনওসি দেওয়া যায়নি। এই সংকট দূর করতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক দু-বছর আগেই উত্তরপ্রদেশ সরকারকে পরামর্শ দিয়েছিল, এই ৬৬ পড়ুয়াকে অন্য মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করতে। কিন্তু যে কারণেই হোক তা করা হয়নি।
সাহারানপুরের এই মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়াদের অভিযোগ, এমসিআই এনওসি বাতিল করলেও, তাঁদের তা জানানো হয়নি। উলটে ক্লাস করানো হয়েছে। আজ, এই পরিস্থিতির জন্য মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষই দায়ী। তারা এতদিন আমাদের অন্ধকারে রেখেছিল।