কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক : কেন্দ্রীয় সরকারের তিনটি কৃষি আইনের প্রতিবাদ করে দিল্লির সমস্ত সীমান্তে উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানার কৃষকরা বিক্ষোভ শুরু করেছিলেন। ফলে প্রায় ১১ মাস ধরে কার্যত বন্ধ ছিল রাজধানী দিল্লির সীমান্ত। টিকরি, সিঙ্ঘু এবং গাজীপুর সীমান্তের এই বন্ধ থাকা রাস্তাগুলি থেকে ব্যারিকেড সরানোর কাজ শুরু করল দিল্লি পুলিশ। রাস্তা থেকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে কংক্রিটের দেওয়াল, লোহার গজাল। ফলে, পুনরায় রাস্তাগুলি খুলে যাবে যান চলাচলের জন্য।
সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশিকায় জানিয়েছে, কৃষকদের কেন্দ্রীয় কৃষি আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করার অধিকার আছে। কিন্তু কখনই অনির্দিষ্টকালের জন্য রাস্তা আটকে রাখতে পারেন না কৃষক। এরপরেই বৃহস্পতিবার সকালে একটি দুর্ঘটনা ঘটে। যেখানে মারা যান ৩ মহিলা কৃষক। তার পরেই বৃহস্পতিবার থেকে টিকরি এই ব্যারিকেড সরানোর কাজ শুরু হয়েছে। শুক্রবার সকাল থেকে গাজীপুরেও কাজ শুরু করেছে পুলিশ। আশা করা হচ্ছে, আগামী দু’তিন দিনের মধ্যেই টিকরি এবং গাজীপুর সীমান্ত অঞ্চল থেকে সমস্ত ব্যারিকেড সরিয়ে নিয়ে রাস্তা খুলে দেওয়া হবে।
শুক্রবার সকালে ঘটনাস্থল থেকে এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা নির্দেশ পেয়েছি। সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। দিল্লি থেকে মিরাট লাইন এবং NH-9 লেন, যা দিল্লি মিরাট এক্সপ্রেসওয়েতে কৃষকদের আন্দোলনের কারণে প্রায় ১১ মাস ধরে বন্ধ ছিল, সুপ্রিম কোর্টের আদেশের পরে দিল্লি পুলিশ সেই রাস্তাও খুলে দেওয়া হয়েছে।’ পুলিশকর্মীদের জন্য তৈরি টিনের চালাও সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে দিল্লি-মিরাট লেন থেকে। নিরাপত্তার জন্য ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ।
Police barricading being removed from Ghazipur (Delhi-Uttar Pradesh) border where a farmers' agitation against the three farm laws is underway.
A Police personnel at the spot says, "The barricades are being removed, the route is being opened. We received the orders." pic.twitter.com/Au2XN6uvmp
— ANI (@ANI) October 29, 2021
আরও পড়ুন – টিকরি সীমান্তে আন্দোলনকারী কৃষকদের মঞ্চের কাছে ট্রাক পিষে দিল তিন মহিলাকে
গত বছরের ২৭ নভেম্বর কৃষক আন্দোলন শুরু হওয়ার পর ১ ডিসেম্বর থেকে দিল্লি-মিরাট এক্সপ্রেসওয়েতে মঞ্চ বসিয়ে আন্দোলন আরও জোরদার করেছিল কৃষকরা। এরপর দিল্লি পুলিশ লোহার ব্যারিকেড দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দেয়। ২৬ জানুয়ারী লাল কেল্লার ঘটনার পরে, দিল্লি পুলিশ দিল্লি-মিরাট এক্সপ্রেসওয়েতে একটি সিমেন্টযুক্ত ব্যারিকেট দিয়ে রাস্তাটি সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এরপর ৩০ জানুয়ারী গাজিপুর সার্ভিস লেন হয়ে ইউপি থেকে দিল্লি যাওয়ার রাস্তাটিও বন্ধ করে দেওয়া হয়। যাতে আন্দোলনরত কৃষকরা আর এগিয়ে না যেতে পারে।
সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার নেতৃত্বে হওয়া এই আন্দোলনে যুক্ত আছেন দেশের একাধিক কৃষক সংগঠন। যারা স্পষ্টই জানিয়েছেন, ব্যারিকেট সরিয়ে রাস্তা পুনরায় চালু হলেও কেন্দ্রের তিন কৃষি আইন বাতিল না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের আন্দোলন চলবে।