নয়াদিল্লি: বাবা-ই তাঁর হিরো । প্রিয় বন্ধুও বটে ।- কথাগুলো বলার সময় বোঝা যাচ্ছিল না মেয়েটা সদ্য সতেরোতে (Aashna Lidder) পা দিয়েছে । কিছু মুহূর্ত আগেই বাবার (Brigadier Lakhbinder Singh Lidder) চিতায় আগুনও দিয়েছে সে । তখন স্পষ্ট চোখের কোণার চিকচিক পদার্থটা । কষ্ট বুজে মেয়েটা আজ বাবার জন্য কতটা গর্বিত ।
আশনা লিডার । তামিলনাড়ুতে চপার দুর্ঘটনায় (IAF helicoper crash) প্রয়াত ব্রিগেডিয়ার লখবিন্দর সিং লিডারের মেয়ে । কিছু মুহূর্ত আগেই বাবার চিতায় আগুন জ্বালিয়েছে । তার পরই দাঁড়িয়েছে সংবাদ মাধ্যমের সামনে । নাগাড়ে কথাগুলো বলে চলল মেয়েটা । “আমি এখন ১৭ । এই ১৭টা বছর আমি বাবাকে পেয়েছি । একাধিক খুশির মুহূর্ত আমরা এক সঙ্গে কাটিয়েছি । এটা নিঃসন্দেহে জাতীয় ক্ষতি ।” ক্ষণিক থেমে আবার বলতে শুরু করল মেয়েটা । বলল, “বাবা আমার প্রিয় বন্ধু । বাবা আমার অনুপ্রেরণা । বাবার স্মৃতি আগামী দিন আমার চলার পথকে আরও দৃঢ় করবে ।”
মেয়েটা যখন কথাগুলো বলে চলেছে, তখনও যেন ঘোর কাটিয়ে উঠতে পারেননি ব্রিগেডিয়ারের স্ত্রী গীতিকা । কিছু মুহূর্তে আগে, স্বামীর কফিনে তাঁর চুম্বন-দৃশ্য চোখে জল এনে দিয়েছিল তামাম দেশবাসীর । জাতীয় পতাকায় মোড়া ব্রিগেডিয়ারের কফিনে এক এক করে শ্রদ্ধা জানিয়েছিলেন অন্যরা । তার পরই স্বামীর কফিনের দিকে মেয়েকে নিয়ে এগিয়ে এসেছিলেন গীতিকা । কফিনের উপর ঝুঁকে পড়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন । তার পর অন্তিম শয্যায় শায়িত স্বামীর কফিনে চুম্বন করেছিলেন । পাশে দাঁড়িয়ে ডুকরে কাঁদ ছিলেন সদ্য ষোলো উত্তীর্ণ মেয়েটা ।
আরও পড়ুন: Rakesh Tikait: জেনারেল রাওয়াতকে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে ‘গো ব্যাক’ শুনতে হল টিকায়েতকে