নয়াদিল্লি: রাজনৈতিক মতবিরোধ থাকলেও জাতীয় স্বার্থে সবাই এক। আফগানিসান ইস্যুতে ভারতের শক্তিশালী জাতীয় অবস্থান রয়েছে। আফগানদের বন্ধুত্বের গুরুত্ব দেবে ভারত। বৃহস্পতিবার সর্বদল বৈঠকের পরে এমনই জানালেন মোদি সরকারের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
তালিবান দখলে চলে গিয়েছে কাবুলিওয়ালার দেশ আফগানিস্তান। সেই পরিস্থিতি নিয়ে বৃহস্পতিবার সর্বদল বৈঠক করে ভারত সরকার। সেই বৈঠক শেষে বিদেশমন্ত্রী বলেন, “আফগানিস্তান নিয়ে সরকার-সহ সকল রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব একই অবস্থান নিয়েছি। আফগানিস্তান ইস্যুতে আমাদের একটা শক্তিশালী জাতীয় অবস্থান রয়েছে। আফগান নাগরিকদের সঙ্গে বন্ধুত্বের বিষয়টি আমাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।”
বিদেশমন্ত্রী জানিয়েছেন যে আফগানিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ে সকল রাজনৈতিক দলকে অবগত করা হয়েছে। এই মুহূর্তে ভারত সরকারের মূল লক্ষ্য হচ্ছে ওই দেশে আটকে থাকা ভারতীয় নাগরিকদের উদ্ধার করে নিয়ে আসা। সেই কাজে ছয়টি বিমান নিত্যদিন কাবুলে যাতায়াত করছে এবং সকলকে নিরাপদে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হবে।
আরও পড়ুন- কম টাকায় ইলেকট্রনিক জিনিসের টোপ, তিন বছর পর পুলিশের জালে প্রতারক
মন্ত্রী জয়শঙ্কর আরও বলেছেন, “সরকার সকল ভারতীয়কে দেশে ফেরাতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। অনেক আফগানকেও ভারতে নিয়ে আসা হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব আমরা সেই কাজ সম্পন্ন করব। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রের নানাবিধ সিদ্ধান্তের দিকেও আমাদের নজর রাখতে হচ্ছে। আগামী দিনে এই প্রকারের আরও অনেক সর্বদল বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।”
ভারতের ৭৫তম স্বাধীনতা দিবসের দিনে আফগানিস্তানের দখল নিয়েছিল তালিবান। সেই সময় থেকে গত এক সপ্তাহ ধরে ক্রমশ অবনতি হয়েছে পরিস্থিতির। কর্মসূত্রে বহু ভারতীয় ওই দেশে বসবাস করতেন। তাঁদের নিরাপদে দেশে ফেরানোর বিষয়ে উদ্যোগী হয় সাউথ ব্লক। সেই লক্ষ্যে বিশেষ ব্যবস্থা করে ভারতের বিদেশমন্ত্রক। আফগানিস্তান পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য বিদেশমন্ত্রকের পক্ষ থেকে বিশেষ সেল গঠন করা হয়। হেল্পলাইন নম্বর, হোয়াটসঅ্যাপ এবং ই-মেল পরিষেবা চালু করা হয়।
আরও পড়ুন- পশ্চিমবঙ্গ দেশের বাঘ, বিজেপিকে বার্তা শিবসেনার
অন্যদিকে, তালিবান শাসনকে সমর্থন জানিয়ে তাদের সঙ্গে কাজ করার বার্তা দিয়েছে পাকিস্তান, চীন, রাশিয়া ও ইরান। তালিবান ইস্যুতে ভারত কী অবস্থান নেবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল। অসম, কর্ণাটকের মতো বেশ কয়েকটি বিজেপি শাসিত রাজ্যে তালিবান সমর্থন করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করায় গ্রেফতার করা হয়েছে। সেক্ষত্রে মনে করা হচ্ছে, তালিবানের প্রতি কঠোর মনোভাব নেবে নয়াদিল্লি।