নয়াদিল্লি: সরকার নিয়ন্ত্রিত এনটিপিসি-র (National Thermal Power Corporation) বিভিন্ন তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিকে কয়লা সরবরাহ করবে আদানি গোষ্ঠী৷ গত বছরের শেষে এ কাজের বরাত পায় তারা৷ চুক্তি অনুযায়ী, এনটিপিসি-কে ১ মিলিয়ন মেট্রিক টন কয়লা সরবরাহ করবে গৌতম আদানির অস্ট্রেলিয় একটি সংস্থা৷ ওই কয়লা আনা হচ্ছে অস্ট্রেলিয়া থেকেই৷ এর পাশাপাশি, কলকাতার দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশনকে (Damodar Valley Corp) ওই পরিমাণ কয়লা সরবরাহ করা নিয়েও কথাবার্তা চলছে আদানিদের৷ যদিও বিষয়টি নিয়ে কোনও পক্ষই মুখ খুলতে চায়নি৷
গত বছর সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে ভারতের বিভিন্ন তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিতে কয়লার ঘাটতি দেখা দেয়৷ উৎসবের মরসুম থাকায় এমনিতেই তখন বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে যায়৷ ফলে ওই সময় বড় রকমের বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের শঙ্কা তৈরি হয় দেশে৷ কয়েকটি রাজ্যে বিক্ষিপ্তভাবে বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের ঘটনাও ঘটে৷ এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি আটকাতে দেশের তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিতে কয়লার জোগান ঠিক রাখতে উদ্যোগী হয় সরকার৷ কয়লা সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে বরাত ডাকে এনটিপিসি৷ সেই বরাতে অংশ নেয় আদানিরা এবং জিতেও যায়৷
যদিও আদানিদের এই বরাত পাওয়া নিয়ে কোনও কোনও মহল থেকে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে৷ দেশে প্রচুর পরিমাণ কয়লা মজুত থাকতে কেন বাইরে থেকে কয়লা এনে এনটিপিসিকে দেওয়ার প্রয়োজন পড়ল তা বোধগম্য হচ্ছে না অনেকের৷ অভিযোগ উঠেছে, আদানিদের থেকে কয়লা কিনতে ডিভিসির উপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে৷ তাছাড়া নরেন্দ্র মোদি যেখানে জ্বালানির ব্যবহার কমিয়ে অচিরাচরিত শক্তির সাহায্যে বিদ্যুৎ উৎপাদনে জোর দেওয়ার কথা বলে থাকেন সেখানে সরকারের এই ধরনের সিদ্ধান্ত প্রধানমন্ত্রীর চিন্তাভাবনার সঙ্গে খাপ খায় না বলে দাবি অনেকের৷ এদিকে বরাত নিয়ে যে প্রশ্ন উঠছে তাকে আমল দিতে নারাজ আদানিরা৷ সংস্থা সূত্রে খবর, যে পরিমাণ কয়লা তারা বাইরে থেকে নিয়ে আসে সেই তুলনায় এই বরাত তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়৷ ১ মিলিয়ন মেট্রিক টন আদানিদের কাছে আমদানি করা মোট কয়লার মাত্র ২ শতাংশের সমান৷
আরও পড়ুন: Covid India: ৯০% বয়স্ক নাগরিক কোভিডের একটিই টিকা পেয়েছেন, স্বীকারোক্তি মোদির
