চণ্ডীগড়: পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী চরণজিত্ সিং চন্নি (Charanjit Singh Channi) শুক্রবারই ঘোষণা করেন, কপুরথলা জেলার গুরুদ্বারে (Kapurthala gurdwara) কোনও ‘ধর্মীয় অবমাননা’র ঘটনা ঘটেনি। ফলে, গত রবিবার যারা যুবককে পিটিয়ে মেরেছে, তাদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের হবে। পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর (Punjab chief minister) এই ঘোষণার অব্যবহিত পরেই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হল কপুরথলার ওই গুরুদ্বারের কেয়ারটেকারকে। তার বিরুদ্ধে খুন-সহ আইপিসি-র একাধিক ধারা রুজু হয়েছে। যুবককে গণপ্রহারের ঘটনায় আর কারা জড়িত, পুলিস তা তদন্ত করে দেখছে (case of murder)।
অমৃতসরের স্বর্ণমন্দিরে ‘ধর্মীয় অবমাননা’র ঘটনাকে কেন্দ্র করে চরম উত্তেজনার মধ্যেই রবিবার সকালে পঞ্জাবের কপুরথলা জেলায় ফের এক যুবককে পিটিয়ে মারার অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ, কপুরথলা গুরুদ্বার থেকে ‘নিশান সাহিব’ (ধর্মীয় ঝান্ডা) খুলে নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন ওই যুবক। ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত লাগার অভিযোগ তুলে, গণপ্রহার করে যুবককে মেরে ফেলার অভিযোগ ওঠে। কপুরথলার নিজামপুর গ্রামের গুরুদ্বারের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিন্দার ঝড়ল বয়ে যায়।
আরও পড়ুন: কানপুরে অখিলেশ ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী বাড়িতে উদ্ধার ১৫০ কোটি, চক্ষু চড়কগাছ আয়কর কর্তাদের
ধর্মীয় অবমাননা করে থাকলেও কাউকে বিচারের নামে পিটিয়ে খুনের অধিকার কে দিল, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। পঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এ নিয়ে নিন্দায় সরব হন। কপুরথলার ঘটনায় তার আগের দিনের স্বর্ণমন্দিরের ঘটনার প্রভাব পড়ে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। ঘটনার পরদিনই কপুরথলার পুলিস দাবি করে, গুরুদ্বারে কোনও ধর্মীয় অবমাননার ঘটনা ঘটেনি। অভিযুক্ত গুরুদ্বার থেকে নিশান সাহিব চুরি করতে গিয়েছিলেন বলে, যে অভিযোগ তোলা হয়, পুলিস তা খারিজ করে। ঘটনার প্রেক্ষিতে পঞ্জাবের ডিজিপি সিদ্ধার্থ চট্টোপাধ্যায় টুইট করে বলেন, ‘ধর্মীয় সম্প্রীতি নষ্ট করে পঞ্জাবের আইন-শৃঙ্খলা ভাঙার চেষ্টা হলে, তা কড়া হাতে দমন করা হবে।’ অমৃতসর ও কপুরথলার দুর্ভাগ্যজনক ঘটনাকে পুলিস যে গুরুত্ব দিয়ে দেখছে, তা তিনি স্পষ্ট করে দেন।