হরিদ্বার: হরিদ্বারের ধর্ম সংসদে (Haridwar Dharma Sansad) ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্রে (Hindu Rashtra) পরিণত করার জন্য গণহত্যার ডাক দিয়ে বিতর্কে একদল হিন্দুত্ববাদী সাধু ও সাধ্বী৷ ইতিমধ্যেই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি এফআইআর হয়েছে৷ বিরোধী দলগুলি ওই সব হিন্দুত্ববাদী সাধু বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে৷ কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী (Priyanka Gandhi) টুইট করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবি করেন৷ মিমের সর্বোচ্চ নেতা আসাদুদ্দিন ওয়াইসির বক্তব্য, ধর্ম সংসদে গণহত্যার জন্য উস্কানিমূলক নানা মন্তব্য করা হয়েছে৷ উত্তরাখণ্ড পুলিসের ডিজি অশোক কুমার বলেন, ‘ধর্ম সংসদে যাঁরা এই ধরণের মন্তব্য করেছেন তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷ অত্যন্ত বেআইনি কাজ হয়েছে৷ কাউকে ছেড়ে দেওয়া হবে না৷’
১৭ থেকে ১৯ ডিসেম্বর হরিদ্বারে চলে ধর্ম সংসদ৷ সেখানে সাধু ও সাধ্বীরা সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে গণহত্যার ডাক দেন৷ এক হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের নেত্রী মা অন্নপূর্ণা বলেন, ‘আমরা একশো সেনা চাই৷ যাঁরা ওদের ২০ লক্ষ মানুষকে খুন করতে পারবে৷’
প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন মনমোহন সিং সংসদে রাষ্ট্রের সম্পদে সংখ্যালঘুদের অধিকার নিয়ে মুখ খুলেছিলেন৷ তাঁর সেই ঘটনার উল্লেখ করে বিহারের ধর্মদাস মহারাজ নামে এক সাধু বলেন, ‘আমি সেদিন সংসদে থাকলে মনমোহনকে ছ’টা গুলি করতাম৷ নাথুরাম গডসের আদর্শই আমাদের একমাত্র পথ৷’ আনন্দস্বরূপ মহারাজ বলেন, ‘হরিদ্বারের মতো হিন্দু প্রধান জায়গায় মুসলিম ও খ্রিষ্টানরা কোনও ধর্মাচরণ করতে পারবে না৷’ প্রকাশ্য মঞ্চে বলা এই সব কথাবার্তা ভিডিয়ো ছড়িয়ে দেওয়া হয় উদ্যোক্তা সংগঠনের তরফ থেকে৷
আরও পড়ুন: Kapurthala lynching: পঞ্জাবের কপুরথলা গুরুদ্বারে পিটিয়ে খুনের ঘটনায় গ্রেফতার কেয়ারটেকার
গোটা ঘটনায় বিরোধীরা সরব হওয়ায় অস্বস্তিতে পড়ে গিয়েছে বিজেপি৷ উত্তরাখণ্ডের বিজেপি নেতারা ওই ধর্ম সংসদের থেকে নিজেদের দূরত্ব বজায় রাখার মরিয়া চেষ্টায় নেমেছেন৷ তবে সরকারি ভাবে কোনও বিজেপি নেতা বা মন্ত্রী মুখ খোলেননি৷ রাজ্য পুলিশের ডিজি শুধু দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন৷