নয়াদিল্লি: পেগাসাস নিয়ে উত্তপ্ত জাতীয় রাজনীতি। যার জেরে বাদল অধিবেশনে প্রতিদিনই উত্তপ্ত হচ্ছে সংসদের দুই কক্ষ। ব্যহত হচ্ছে সংসদের স্বাভাবিক কাজকর্ম। এরই মাঝে ওই পেগাসাস কেলেঙ্কারির জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ইস্তফা দাবি করলেন সাংসদ তথা কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী।
আরও পড়ুন- সর্ষের মধ্যে ভূত, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে চুরির ঘটনায় আটক চতুর্থ শ্রেণির কর্মী
ভারতের বহু মন্ত্রী, বিরোধী নেতা, সাংবাদিকের ফোন হ্যাক করেছে ইজরায়েলি সংস্থার স্পাইওয়্যার পেগাসাস৷ ফোন হ্যাকিংয়ের তালিকায় রয়েছেন বহু ব্যবসায়ী, সরকারি আধিকারিক, বিজ্ঞানী এবং সমাজকর্মী। বেশির ভাগ হ্যাক করা হয়েছে ২০১৬ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে৷ এই খবর সামনে এসেছে এমন দিনে, ঠিক যার পরের দিন সংসদে বাদল অধিবেশন শুরু হতে চলেছে৷ খুব স্বাভাবিকভাবেই এই নিয়ে উত্তপ্ত হচ্ছে সংসদের দুই কক্ষ।
আরও পড়ুন- মহিলা ও ট্রান্সজেন্ডারদের শ্লীলতাহানি ঠেকাতে উদ্যগী হাইকোর্ট
ফোন ট্যাপের শিকার হওয়া রাজনীতিবিদদের তালিকায় রাহুল গান্ধীর নাম রয়েছে। যা নিয়ে তিনি বলেছেন, “আমার ফোন ট্যাপ করা হয়েছে। রাহুল গান্ধীর গোপনিয়তা বিশেষ কোনও বড় বিষয় নয়। আমি বিরোধী দলের নেতা। সাধারণ মানুষের কথা আমি সংসদে তুলে ধরি। এটা সাধারণ মানুষের বাকস্বাধীনতার উপরে আঘাত।”
আরও পড়ুন- সংসদে মন্ত্রীর হাতের কাগজ ছিঁড়ে বাদল অধিবেশনে সাসপেন্ড তৃণমূল সাংসদ
এই সকল কারণেই জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ থেকে অমিত শাহের ইস্তফা দাবি করেছেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। ওয়ানাডের সাংসদ বলেছেন, “এই পেগাসাস কেলেঙ্কারির জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ইস্তফা দেওয়া উচিত। আর, নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে তদন্ত হওয়া উচিত।”
আরও পড়ুন- রুমানা মুসলিম বলে কি কোনও অঘটন ঘটেছে, প্রশ্ন অধীরের
শুক্রবার সকালে অধিবেশন শুরু আগে সংসদে গান্ধী মূর্তির সামনে বিক্ষোভ দেখান কংগ্রেস, ডিএমকে এবং শিবসেনার সাংসদেরা। পেগাসাস কেলেঙ্কারি নিয়ে কেন্দ্রকে আক্রমণ করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির নেতৃত্বে ওই ঘটনার তদন্তের দাবিও করা হয়। সকালে সংসদের বাইরে বিক্ষোভ শুরু হয়। যার নেতৃত্বে ছিলেন কংগ্রেসের সাংসদেরা।
সেই বিক্ষোভের পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। কেরলের ওয়ানাডের সাংসদ বলেন, “ইজরায়েল সরকারের পক্ষ থেকে পেগাসাস সফটওয়্যার তৈরি করা হয়েছিল জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ব্যবহারের জন্য। ওই অস্ত্র দিয়েই জঙ্গিদের ঘায়েল করা হয়। ভারতের প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সেই অস্ত্র দেশবাসী এবং দেশের এজেন্সিগুলির উপরে প্রয়োগ করছে।”