কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এখনও পর্যন্ত নয়টি এবং গত দেড় মাসে প্রায় ছয়টি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার বিদেশ থেকে আসা তহবিলের লাইসেন্স বাতিল করেছে। যার মধ্যে অন্যতম কমনওয়েলথ হিউম্যান রাইটস ইনিশিয়েটিভ নামের একটি এনজিও।
এই এনজিওর অনুমোদন এই বছরের জুনে বন্ধ করা হয়েছিল। যার তথ্য সোমবার টাইমস অফ ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছে। জানা গিয়েছে, কমনওয়েলথ হিউম্যান রাইটস ইনিশিয়েটিভ স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মদন লোকুর। ইনি সেই ব্যক্তি যাকে পশ্চিমবঙ্গ সরকার পেগাসাস ইস্যুতে মামলার তদন্তের জন্য তৈরি কমিশনের প্রধান নির্বাচন করেছিল।
পেগাসাস-কাণ্ডে রাজনৈতিক নেতা, বিচারপতি, আইনজীবী ও সাংবাদিক -সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিদের টেলিফোনে আড়িপাতার ঘটনার তদন্তে সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি এম বি লকুরের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিশন গঠন করে রাজ্য সরকার। আর ঠিক তার একমাস পরেই কমনওয়েলথ হিউম্যান রাইটস ইনিশিয়েটিভ -এর বিদেশ থেকে আসা তহবিলের অনুমোদন বন্ধ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। এর পরই প্রশ্ন ওঠে মদন লকুর কমিশনের প্রধান হওয়ার কারণেই কী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কোপ পড়ে ওই এনজিওর উপর?
আরও পড়ুন – উত্তরপ্রদেশের মুসলিমদের দৈন্যদশার ছবি তুলে ধরলেন আসাদুদ্দিন
এই কমনওয়েলথ হিউম্যান রাইটস ইনিশিয়েটিভ এমন একটি সংগঠন যারা ২০২১ সালে মার্কিন দূতাবাস, নয়াদিল্লিতে ব্রিটিশ হাইকমিশন এবং কানাডার হাইকমিশন থেকে প্রচুর অর্থ সাহায্য পেয়েছে।
ভারতের উত্তর -পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যে বন্দিদের জন্য অ্যাডভোকেসি অ্যান্ড আউটরিচ প্রোগ্রাম চালানোর জন্য এই সংস্থাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অর্থ সাহায্য করেছিল। উদ্দেশ্য ছিল মূলত ভারতে ন্যায়বিচার, বিদেশে জাতীয় বন্দি এবং অপরাধের শিকারদের উপর তাদের প্রভাব’ নিয়ে গবেষণা করা। এছাড়াও, এই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ক্যালিডোস্কোপ ডাইভারসিটি ট্রাস্ট, ফ্রেডরিখ নওমান স্টিফটং-জার্মানি, দ্য হান্স সিডেল ফাউন্ডেশন এবং অন্যান্যদের কাছ থেকেও অর্থ সাহায্য পেয়েছে। তার পরেও এই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার বিদেশ থেকে আসা তহবিলের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে।
আরও পড়ুন – তথ্য গোপনের অভিযোগ তুলে মমতার বিরুদ্ধে কমিশনে বিজেপি, ভিত্তিহীন বলল তৃণমূল
তবে, শুধু হিউম্যান রাইটস ইনিশিয়েটিভ নয়। গত দেড় মাসে প্রায় ছয়টি এনজিওর বিদেশ থেকে আসা তহবিলের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। বলা হয়েছে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার নাম করে আদতে এগুলিতে খ্রিস্টান ও ইসলামী সংগঠন চালানো হয়। যার বিরুদ্ধেই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।