নয়াদিল্লি: তিন কৃষি আইন প্রত্যাহারের কথা ঘোষণার সময় দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, গত এক বছর আমরা চেষ্টা করেও কৃষকদের বোঝাতে পারিনি। আমাদের চেষ্টায় হয়তো কোনও ত্রুটি ছিল।
প্রকাশ্যে দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাইছেন নরেন্দ্র মোদি, এ দৃশ্য বিরল হলেও এটাই কিন্তু প্রথম নয়। এর আগেও একবার দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ২০২০-র মার্চে লকডাউন ঘোষণার সময় ক্ষমা চেয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী।২০০২ সালে গুজরাত দাঙ্গার সময় সেই রাজ্যের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দিকে আঙুল তুলেছিল বিরোধীরা। প্রবল চাপে পড়লেও সেই সময় ক্ষমা চাননি নমো। পরে অবশ্য এই ঘটনায় কোর্ট তাঁকে ক্লিনচিট দেয়।
আরও পড়ুন: কৃষকদের চাপের কাছে নতি স্বীকার কেন্দ্রের, অবশেষে ৩ কৃষি আইন প্রত্যাহার করলেন মোদি
২০১৪ সালে লোকসভা ভোটের প্রচারের সময় নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে যুক্তিও দেন মোদি। নোট বাতিলের সময় দেশজুড়ে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন তিনি। বিরোধীদের প্রবল চাপ সত্ত্বেও সেই সময়ও মাথা নোয়াননি প্রধানমন্ত্রী। জিএসটি লাগু করার সময়ও সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন নমো। বিরোধী দলগুলি তাঁকে ক্ষমা চাওয়ার কথা বলে। সেবারেও মোদি ক্ষমা চাননি। করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে দেশজুড়ে লকডাউন জারির সময় পিছু হটেন তিনি।
মোদি বলেছিলেন, গরিব মানুষেরা প্রবল সমস্যার পড়বেন জেনেও এই কঠিন পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হচ্ছি। তার জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী। আমি জানি অনেকেই আমার উপর রাগ করবেন। কিন্তু যুদ্ধে জিততে কঠিন পদক্ষেপ জরুরি। আর আজ, শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী বললেন, দেশবাসীর কাছে স্বচ্ছ ও পরিশুদ্ধ হৃদয়ে আমি ক্ষমা চাইছি। আমরা কৃষকদের বোঝাতে পারিনি। আমাদের চেষ্টায় নিশ্চয়ই কিছু ঘাটতি ছিল। সে কারণেই আমরা কিছু কৃষককে বোঝাতে পারিনি।
আরও পড়ুন: তিন কৃষি আইন, ১৮ মাসে কোন পথে প্রত্যাহার