কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: শেখরাপ্পা জ্ঞানগৌদার মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। মঙ্গলবার রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে প্রাণ হারিয়েছেন ভারতীয় মেডিক্যাল পড়ুয়া শেখরাপ্পা জ্ঞানগৌড়ার ওরফে নবীন। এই খবর পরেই টুইটে শোকপ্রকাশ করেন রাহুল গান্ধী।
টুইটে রাহুল লেখেন, ‘ইউক্রেনে আটকে পড়া ভারতীয় ছাত্র নবীনের প্রাণ হারানোর মর্মান্তিক খবর পাওয়া গিয়েছে। নবীনের পরিবার ও বন্ধুদের প্রতি আমার আন্তরিক সমবেদনা।’ এই টুইটে কেন্দ্রকে খোঁচাও দেন রাহুল। তিনি লেখেন, এখন প্রতিটি মুহূর্ত মূল্যবান। ভারত সরকারের উচিত নির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে ইউক্রেনে আটকে থাকা ভারতীয়দের উদ্ধার করে দেশে ফেরানো।’
Received the tragic news of an Indian student Naveen losing his life in Ukraine.
My heartfelt condolences to his family and friends.
I reiterate, GOI needs a strategic plan for safe evacuation.
Every minute is precious.
— Rahul Gandhi (@RahulGandhi) March 1, 2022
নিহত ওই ভারতীয় ছাত্র কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রীর জেলা হাভেরির বাসিন্দা। ইতিমধ্যেই মৃত ওই ছাত্রের পরিবারকে সমবেদনা জানিয়েছেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই। কথা বলেছেন মৃত ছাত্রের বাবার সঙ্গে। নবীনের দেহ ফিরিয়ে নিয়ে আসতে সরকার সমস্ত রকম চেষ্টা করবে বলেও তাঁকে আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
Naveen Shekharappa, a Haveri district student died in #Ukraine. CM Bommai spoke with his father. All efforts will be made to bring back Naveen's body to India. The CM said that the matter is being negotiated with foreign ministry officials: Karnataka CMO
(file pic) pic.twitter.com/KeRH8qU6ZJ
— ANI (@ANI) March 1, 2022
ইউক্রেনের সময় অনুযায়ী, মঙ্গলবার সকাল ৮টা বেজে ১ মিনিটে রুশ বাহিনীর গোলাবর্ষণে মৃত্যু হয় বছর ২১ এর ভারতীয় ছাত্র শেখরাপ্পা জ্ঞানগৌদার ওরফে নবীনের। সূত্রের খবর, এদিন সকালে খারকিভ গভর্নর হাউসের কাছেই একটি সুপার মার্কেটে কিছু জিনিস কিনতে গিয়েছিলেন নবীন। মার্কেটের বাইরে আরও কয়েক জন ছাত্রের সঙ্গে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। আচমকাই সেই সময় রুশ ক্ষেপণাস্ত্র আছড়ে পড়ে। রুশ সেনার নিশানায় ছিল গভর্নর হাউস। ওই ক্ষেপণাস্ত্রেই প্রাণ হারান নবীন।
ইউক্রেনে আটকে রয়েছেন বহু ভারতীয় ছাত্র। এরই মধ্যে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে এক ভারতীয়ের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। এই ঘটনার পরে ক্রমশই জটিল হচ্ছে পরিস্থিতি। বাড়ছে উদ্বেগ।
