আজ থেকে প্রায় ২০০ বছর আগের কথা। ঊনবিংশ শতকের ভারতে নারীদের অবস্থান ছিল পর্দানসীন। পর্দার আড়ালে অন্দরমহলেই তাঁদের জীবন আবদ্ধ ছিল। কিন্তু কাদম্বিনী দেবী ছিলেন সম্পূর্ণই আলাদা। পর্দা প্রথার থেকে তিনি বেরিয়ে আসেন। ১৮৮৪ সালে ভর্তি হন ক্যালকাটা মেডিক্যাল কলেজে। সেইসঙ্গে ইতিহাসে প্রথম ভারতীয় মহিলা ডাক্তার হন কাদম্বিনী গাঙ্গুলী। আজ ১৮ জুলাই ১৮৬১ সালে বিহারের ভাগলপুরে জন্মেছিলেন তিনি। রবিবার তাঁর ১৬০ তম জন্মদিনে শ্রদ্ধা জানাল সার্চ ইঞ্জিন গুগল। সারাদিনই ডুডলে ভেসে থাকল তাঁরই ছবি।
১৮৮৬ সালে ডাক্তারি পাশ করেন কাদম্বিনী দেবী। তারপরে একজন মহিলা চিকিৎসক হিসেবে কাজ শুরু করেন। ভারতীয় হওয়ার পাশাপাশি তিনি দক্ষিণ এশিয়াতেও প্রথম মহিলা ডাক্তার ছিলেন। যদিও কাদম্বিনী গাঙ্গুলীর সঙ্গে ডাক্তারি শুরু করেন আরেক ভারতীয় মহিলা আনন্দিবাঈ যোশি। এখানে কাদম্বিনী দেবী যখন ক্যালকাটা মেডিক্যাল কলেজ থেকে ডাক্তারি পাশ করেছিলেন।
সেই একই সময়ে পেনসিলভেনিয়া মেডিক্যাল কলেজ থেকে ডাক্তারি পাশ করেন আনন্দিবাঈ যোশি। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত মাত্র ২১ বছর বয়সে মারা যান আনন্দিবাঈ।
কর্মব্যস্ত জীবন চলাকালীন তিনি বিয়ে করেন তৎকালীন ব্রাহ্মসমাজের এক বিশিষ্ট সদস্য দ্বারকানাথ গাঙ্গুলীকে। ৩ অক্টোবর ১৯২৩ সালে তিনি দেহত্যাগ করেন। পুরুষ প্রভাবিত ঊনবিংশ শতকে ভারতের নারী স্বাধীনতা ও চিকিৎসা ক্ষেত্রে তাঁর অনবদ্য অবদানের জন্য এই সম্মান প্রদর্শন গুগলের।