ওয়েব ডেস্ক: চাঁদের দক্ষিণ মেরু জয় করে ইতিহাস লিখেছে ভারত। তবে পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহের পরতে পরতে লুকিয়ে অজানা সব রহস্য। তাই চাঁদকে (Moon Mission) নিয়ে আরও গবেষণা চালাচ্ছে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। এছাড়াও আসন্ন কয়েকবছরের মধ্যে ‘লাল গ্রহ’ মঙ্গলেও অভিযান (Mars Mission) চালাবে ইসরো (ISRO)। তার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে ইতিমধ্যে। বলা বাহুল্য, এতে অনেকদূর এগিয়েও গিয়েছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। কারণ, চাঁদ ও মঙ্গলে মানব মিশনের জন্য বিভিন্নরকম পরীক্ষা চালাতে লাদাখের সো কার উপত্যকায় স্থাপন করা হল হিমালয়ান আউটপোস্ট ফর প্ল্যানেটারি এক্সপ্লোরেশন বা ‘হোপ’ (Himalayan Outpost For Planetary Exploration)। ৩১ জুলাই ইসরো-র চেয়ারম্যান ডঃ ভি নারায়ণন এই গবেষণা কেন্দ্রটির উদ্বোধন করেন।
কিন্তু কী এই ‘হোপ’ (HOPE)? ইসরো জানিয়েছে, মঙ্গল গ্রহের মতো পরিবেশেই তৈরি করা হয়েছে এই গবেষণা কেন্দ্রটি। মঙ্গলের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ পরিবেশের কারণে সো কার উপত্যকাকে বেছে নেওয়া হয়েছে। এখানে উচ্চ মাত্রার অতিবেগুনি রশ্মি, নিম্ন বায়ুচাপ, তীব্র ঠান্ডা এবং লবণাক্ত পারমাফ্রস্ট রয়েছে, যা মঙ্গলগ্রহের প্রতিকূল আবহাওয়ার মতোই। তাই এটিকে ভবিষ্যতের চন্দ্র ও মঙ্গল মিশনের জন্য জীবনধারণের প্রযুক্তি ও সাপোর্ট সিস্টেম পরীক্ষার উদ্দেশ্যে গড়ে তোলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মঙ্গল গ্রহেও তুষার যুগ! গবেষণা চালিয়ে চমকে গেলেন বিজ্ঞানীরা
‘হোপ’ গবেষণা কেন্দ্রে দু’টি সংযুক্ত ইউনিট রয়েছে—একটি আট মিটার ব্যাসের ক্রু সদস্যদের জন্য বসবাসযোগ্য স্থান এবং অপরটি পাঁচ মিটার প্রশস্ত ইউটিলিটি মডিউল, যেখানে সরঞ্জাম ও সাপোর্ট সিস্টেম রাখা হয়েছে। জানা গিয়েছে, ১০ আগস্ট পর্যন্ত চলবে একটি পরীক্ষামূলক মিশন। এই সময় দুইজন ক্রু সদস্য সম্পূর্ণভাবে কেন্দ্রের ভেতরে থাকবেন এবং নানা শারীরিক, মানসিক ও কাজকেন্দ্রিক পরীক্ষায় অংশ নেবেন।
আইআইটি বোম্বে, আইআইটি হায়দরাবাদ, আইআইএসটি তিরুবনন্তপুরম, রাজীব গান্ধী সেন্টার ফর বায়োটেকনোলজি এবং ইনস্টিটিউট অফ এরোস্পেস মেডিসিনের বিজ্ঞানীরা এই প্রকল্পে যুক্ত রয়েছেন। তাঁরা মানুষের দেহ ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর নিঃসঙ্গতার প্রভাব, স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণ প্রযুক্তি এবং গ্রহের পৃষ্ঠে কাজের পদ্ধতি নিয়ে পরীক্ষা চালাচ্ছেন। আর এভাবেই চাঁদ, মঙ্গল ও মহাকাশে মানব মিশনের জন্য তৈরি হচ্ছে ইসরো।
দেখুন আরও খবর: