শ্রীনগর: কাশ্মীরে ভারী বৃষ্টির জেরে ভূমিধস। সেইসঙ্গে তুষারপাতও। এই দুইয়ের কারণে বন্ধ জম্মু-শ্রীনগর জাতীয় সড়ক। বিভিন্ন জায়গায় ভূমিধসের কারণে জাতীয় সড়কের বিভিন্ন জায়গায় আটকে পড়ে ৩০০০ গাড়ি। বিপাকে পড়েন শ’য়ে শ’য়ে পর্যটক। দুর্যোগের কারণে স্থগিত রাখা হয়েছে ট্রেন পরিষেবা। শনিবার সকাল থেকেই কাশ্মীরে চলছে প্রবল তুষারপাত। পুরু বরফের চাদরে ঢাকা গোটা রাস্তা। তুষারপাতের সঙ্গেই চলছে প্রবল বৃষ্টিও। যান চলাচল বন্ধ ২৭০ কিমি দীর্ঘ জম্মু-শ্রীনগর হাইওয়েতে। বাতিল করা হয়েছে একাধিক বিমান।

শনিবার মরশুমের প্রথম তুষারপাত হয় কাশ্মীরের বৈষ্ণোদেবী মন্দির চত্বরে। এদিন সকালে প্রায় ৪ ইঞ্চি পুরু বরফে ঢেকে যায় বৈষ্ণোদেবী মন্দির। শ্রীনগর, শোপিয়ান, লাহুল-স্পিতিতে শুধুই বরফ! এদিকে, ভারী বৃষ্টির কারণে শ্রীনগরের বিভিন্ন এলাকায় ধস নামে। খারাপ আবহাওয়ার জেরে বানিহাল-বারমুল্লা সেকশনে প্রায় ১৩৬ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ট্রেন পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়।
গত কয়েক দিন ধরেই প্রবল তুষারপাত শুরু হয়েছে কাশ্মীরে। পরপর দু’দিন বন্ধ থাকার পর শুক্রবার ভোরে জাতীয় সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। কিন্তু বিকেল থেকে ফের প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়। অবিরাম বৃষ্টিতে কারোল, মারুগ, মৌমপাসি, ডিগডোল সহ একাধিক জায়গায় ধস নামে। জাতীয় সড়ক বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আটকে পড়ে প্রায় ৩০০টি সবজি বোঝাই ট্রাক। গুজরাত থেকে আসা ২৬ জন পর্যটকও আটকে পড়েন ওই দুর্যোগে। উপত্যকায় ভারী তুষারপাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতেই বানিহাল এবং বরামুলা সেক্টরের মধ্যে ট্রেন পরিষেবা স্থগিত রাখা হয়।
আরও পড়ুন: UP Election: বহুমুখী লড়াই, উত্তরপ্রদেশের ভোট লোকসভার আগে সিংহাসনের সেমিফাইনাল
গত ২৪ ঘণ্টায় জম্মুর বিভিন্ন শহরে রেকর্ড বৃষ্টি হয়েছে। শনিবার সকাল থেকেই তুষারপাতও বেড়েছে। আবহাওয়া দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় কাটরাতে বৃষ্টি হয়েছে ৯৫.২ মিলিমিটার। জম্মুতে বৃষ্টি হয়েছে ৮৩.৫ মিলিমিটার।
রাতভর তুষারপাতের কারণে দৃশ্যমান্যতা কম থাকায় শনিবার ১০টি বিমান বাতিল করা হয়।